দুর্গাপূজায় মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক •

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আর মাত্র ছয়দিন বাকি। মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে আগামী ২২ অক্টোবর শুরু হয়ে ২৬ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে এই উৎসব। এ সময় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চালার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একইসঙ্গে পূজার সময় রাজধানীতে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে বেশি কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ডিএমপি হেডকোয়াটার্সে দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে সমন্বয় সভায় এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা

দুর্গাপূজা চলাকালীন ও বিসর্জনের সময় মোবাইল পেট্রোলের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এলাকা ভিত্তিক পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করবেন। পূজায় পকেটমার, ছিনতাই ও ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশের টহল থাকবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হবে। গুরুত্ব বিবেচনায় পূজা মণ্ডপগুলো ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট দিয়ে সুইপিং করানো হবে।

পূজামণ্ডপ কেন্দ্রিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা

চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রাস্তায় কোন ধরনের মেলা বসতে দেওয়া হবে না। রমনা কালী মন্দিরের সামনের রাস্তায় মেট্রো রেলের কাজ চলমান থাকায় বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিসর্জনের দিন যে সব রুট দিয়ে বিসর্জনের জন্য প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হবে, সে সব রুটের রাস্তা বা ফুটপাতে হকার বসতে, রাস্তায় কোনো প্রকার মালামাল লোড ও আনলোড এবং কোনো যানবাহন পার্কিং করতে দেয়া যাবে না।

পূজামণ্ডপ কেন্দ্রিক আয়োজকদের প্রতি নির্দেশনা

পূজামণ্ডপে প্রবেশপথে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেসিন, পানির ট্যাংক, সাবান এবং পৃথকভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা, থার্মাল স্ক্যানার ও জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনোক্রমেই মাস্ক ছাড়া কাউকে মণ্ডপে প্রবেশ করতে না দেয়া। মণ্ডপগুলোতে সামাজিক দূরত্ব কমপক্ষে ৩ ফুট কঠোরভাবে বজায় রাখতে প্রয়োজনে ফ্লোর মার্কিং করার ব্যবস্থা করতে হবে।

মণ্ডপে পৃথক প্রবেশ ও গমন গেটে আর্চওয়ে, সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ভিডিও রেকর্ডিং নিশ্চিত করাসহ মেটাল ডিটেক্টর দ্বারা যথাযথভাবে দেহ তল্লাশির জন্য পর্যাপ্ত পুরুষ ও নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। মণ্ডপগুলোতে একমুখী চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের পূজামণ্ডপে আসতে নিরুৎসাহিত করা। পূজা উদ্বোধন উপলক্ষে সীমিত লোক সমাগম করে অনুষ্ঠান করা।

নির্দেশনায় আরো রয়েছে- ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া এবং অনলাইনে পূজার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। পূজা শেষে লোক সমাগম করে কোনো সমাপনী অনুষ্ঠান করা যাবে না। মণ্ডপে পর্যাপ্ত আলো ও জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখতে হবে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, ময়লার ঝুড়ি ও নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। পূজা উপলক্ষে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা, সার্কাস ইত্যাদি আয়োজন করা যাবে না এবং উচ্চ শব্দে বাজনা বাজানো নিরুৎসাহিত করাসহ পটকা ও আতশবাজি না ফুটানো নিশ্চিত করতে হবে।

শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জন পরিহার করতে হবে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা। শুধুমাত্র বিসর্জনকালীন প্রতিমা বহন করার জন্য একটি ট্রাকে নূন্যতম সংখ্যক লোক থাকবে। এছাড়া অতিরিক্ত ট্রাক, গাড়ি বা লোক থাকতে পারবে না। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের এসবি দ্বারা ভেটিং করানো ও তালিকা সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো এবং আলাদা পোশাক, পরিচয়পত্র ও আর্মড ব্যান্ড প্রদান করতে হবে।

আরও খবর