এপিবিএন'র অতিরিক্ত আইজিপি মোশারফ হোসাইন

রোহিঙ্গা শিবির থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •

উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির গুলোতে মাদক কারবারে জড়িত অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ঠাঁই হবেনা উল্লেখ করে বাংলাদেশ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন’র অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোশারফ হোসেন বলেছেন, ‘ক্যাম্পে যাতে কোন অপরাধী আশ্রয় নিতে না পারে তার জন্য সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।

৯ অক্টোবর (শুক্রবার) দুপুরে টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া, শালবন ও পুটিবনিয়া নামক রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরির্দশনে এসে এপিবিএন-এর প্রধান এসব কথাগুলো বলেছেন। এসময় তিনি ক্যাম্প ঘুরে দেখেন এবং সাধারন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে ক্যাম্পে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

আইজিপি মোশারফ হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পের লোকজন যাতে কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে না পরে, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। ইতি মধ্যে ক্যাম্পে মাদক ও অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে অভিযান চলমান। ক্যাম্পসহ আশপাশ এলাকা যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকলকে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

এপিবিএন-এর প্রধান বলেন, ‘তাছাড়া মাঝিরা যাতে অপরাধের সঙ্গে না জড়ায়, নজরদারী বাড়ানো হবে। সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং অস্ত্র ও মাদক বিস্তার রোধে কঠোর প্রদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এর প্রতিনিধি টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্প, ক্যাম্প-২৪ (লেদা), ক্যাম্প-২৫ (আলী খালী) ইনচার্জ মো. আবদুল হান্নান, কক্সবাজারে ১৬’র ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. সোহেল রানা, উখিয়া সার্কেল শাকিল আহমেদ, টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান, নয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরির্দশক রকিবুল ইসলাম।

সম্প্রতি সময়ে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

রোহিঙ্গাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, ইয়াবা ও ক্যাম্পভিত্তিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষের কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সাধারণ রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলমান সংঘর্ষে প্রাণে মারা গেছে ৮ রোহিঙ্গা। আহত হয়েছিল শতাধিকের বেশি মানুষ।

আরও খবর