রোহিঙ্গা শিবিরে সংঘর্ষের দিন নিখোঁজ নোহা চালককে ৫১ ঘন্টা পর জীবিত উদ্ধার

হুমায়ূন রশিদ •

কুতুপালং যাত্রী আনতে গিয়েই স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা গ্রæপের হাতে অপহৃত হ্নীলার নোহা চালক নুরুল বশরকে অপহরণের ৫১ঘন্টা পর ছুরিকাঘাত এবং গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এখন উদ্ধারকৃত চালককে কক্সবাজার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

৮ অক্টোবর রাত ৯টারদিকে হ্নীলা রঙ্গিখালী স্কুল পাড়ার দিলদার আহমদ দিলুর পুত্র নোহা চালক নুরুল বশর (৩৫) কে রোহিঙ্গা অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা ছুরিকাঘাত হয়ে রক্তাক্ত এবং গুরুতর আহত অবস্থায় ছেড়ে দেয়।

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কবল থেকে ফিরে আসা নুরুল বশর তার এক বোন জামাই এবং স্বজনদের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার গমন করে বলে স্ত্রী সেগুফা নিশ্চিত করেন। নোহা চালক বশর নিশ্চিত মৃত্যুরমুখ থেকে ফিরে আসার জন্য হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলীর কৌশলী ভূমিকার প্রশংসা করেন। অপহৃত চালক ফিরে আসার সংবাদে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

উল্লেখ্য, গতকাল ৬অক্টোবর সন্ধ্যায় বিশেষ ব্যক্তির ভাড়ায় হ্নীলা হতে কুতুপালং মরকজ পাহাড় এলাকায় যাত্রী আনার জন্য গিয়ে হ্নীলা রঙ্গিখালী স্কুল পাড়ার দিলদার আহমদ দিলুর পুত্র নোহা চালক নুরুল বশর (৩৫) অপহৃত এবং পশ্চিম সিকদার পাড়ার নুর হোছনের পুত্র নুরুল হুদা (৩০) খুন হন। এই ঘটনার পর স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে রোহিঙ্গা বিরোধী বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ে। তারা বিভিন্ন স্থানে রোহিঙ্গাদের উপর চড়াও এবং তাদের প্রতিহতের ঘোষণা দেন।

এরই মধ্যে পরদিন বাদে জোহর একটি মুঠোফোন থেকে অপহৃত নোহা চালক নুরুল বশর বাবার নিকট ফোন করে জানান, সে রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী গ্রæপের হেফাজতে পাহাড়ে রয়েছে। এই বিষয় নিয়ে বেশী হৈ ছৈ করলে আমার লাশ পাবে আর নিরব থাকলে তাদের মনে দয়া হলে জীবিত ছেড়ে দিতে পারে বলে আশ^স্ত করেন

স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ সচেতনমহল অপহৃত নুরুল বশরকে প্রাণে রক্ষার্থে কৌশলী ভূমিকা পালন করে। এরই প্রেক্ষিতে অপহরণকারী গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ফেরত দিলে পরিবারসহ সকলের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে এবং অবসান ঘটে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার। ###

আরও খবর