আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল •
উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপ রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
সেখানে নিহতদের মধ্যে একজন স্থানীয় যুবক এবং তার অপর এক সঙ্গী নুর বশর নিখোঁজ রয়েছে।
নিহত স্থানীয় যুবক হলেন, টেকনাফের হ্নীলার পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকার নোহা চালক নুর হোসেনের পুত্র নুর হুদা। নিহত অপর দুইজন হলেন, শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুন্নার ভাই গিয়াস ও মারুফ এবং অন্য আরেকজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তবে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে নিখোঁজ নুর বশরও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন বলে কেউ কেউ দাবি করেছেন।
নিহত যুবক নুর হুদার পারিবারিক সূত্রে তার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
এদিকে নিহতদের পারিবারিক সূত্রে আরো জানা যায়-নিহত নুর হুদাকে রিজার্ভ ভাড়া করে নিয়ে হ্নীলা থেকে কুতুপালং গেলে ভাড়ার টাকা নিয়ে যাত্রীদের সাথে এক প্রকারের তর্কাতর্কি হলে তাকে জবাই করে হত্যা করা হয় বলে নিহত নুর হুদার ভাই ইসমাইল নিশ্চিত করেন এবং নিখোঁজ নুর বশরকে অপহরণ কিংবা হত্যা করা হয়েছে কিনা তা না জানায় পরিবারের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। তাই তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করার জন্য জোর দাবী জানান।
অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে সংঘর্ষ শুরু হলে সন্ত্রাসী মুন্নার পরিবারের কিছু সদস্য একটি মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে। তখন প্রতিপক্ষরা ঐ গাড়িতে হামলা চালায়। এই সময় গাড়িতে থাকা চালক ও হেল্পার হামলার শিকার হয়। এতে নুর হুদা মারা গেলেও নুর বশরের হদিস তারা জানেন না।
তবে কেন বা কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদকে ফোন করা হলে তিনি জানান, আমরা নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছি। পরিচয় পেলে জানানো হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-