সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্নাল •
রোগিদের পাত্তাই দেয়না কক্সবাজার সদর হাসপাতালের নার্সরা। শুধু নার্সদের অবহেলা নয়, রোগি ও স্বজনদের সাথে অসন্তোষ্টিজনক অাচরণ, কেবল সবাই জড়ো হয়ে ফেসবুকে ব্যস্ত থাকা আর নিজেদের মধ্যে গল্প গুজবের মাঝেই ডিউটি শেষ হয়ে যায় এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী রোগি ও রোগীর স্বজনদের।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের নার্সদের অত্যাচারে একদিকে রোগি ও স্বজনদের আহাজারী, অন্যদিকে নার্সের গল্পের দৃশ্য দেখলে রোগি দেখতে আসা মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক রোগি ও স্বজনদের সাথে নার্সের কথা কাটাকাটিও হয় চোখে পড়ার মতো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিসিইউ ও আইসিউ ছাড়া সরকারি হাসপাতালের চিত্র-পুরো ওয়ার্ড জুড়ে নার্সরা কেবল গল্পই করেন। একবার কেন, এক শ’বার ডাকলেও তাদের পাওয়া যায় না। অল্টো রোগি ও স্বজনদের সঙ্গে অসন্তোষ্টজনক কথাবার্তা বলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৪ মাস বয়সী সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তিরত এক মহিলা জানান, হাসপাতালে ডাক্তারা রাউন্ডে আসলেই নার্সেদের তৎপরতা বেড়ে যায়। ডাক্তার চলে যাওয়া সাথে সাথেই তারা সবাই জড়ো হয়ে গল্পে লিপ্ত হয়ে পড়ে। অনেক রোগি মৃত্যু শয্যায় কাতরাচ্ছে কিন্তু স্বজনরা ডাক্তারকে না দেখে নার্সদের শরাপন্ন হয় কিন্তু নার্সরা অল্টো ঝাড়ি মারে। তাদের ব্যবহার কোর সন্তোষ্টজনক নয়।
একই অভিজ্ঞতার কথা জানান, সুলতান আহমদ। ১ বছর আগে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। সেই সময়ের স্মৃতি এখনো স্পষ্ট তার। তিনি বলেন, চিকিৎসাধীন পুরোটা সময় দেখেছি- নার্সরা রোগীদের দিকে ফিরেও তাকান না।
তিনি আরো জানান, কত চিৎকার করলো, স্বজনরা কত ডাকলেন- কিন্তু কে শোনে কার কথা! তারা নিজেদের মত করেই গল্প করে গেলেন। সারারাত কেউ এলেন না।
এছাড়াও নার্সদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগই রয়েছে তারা ফোনে কথা বলা, ফেইসবুক দেখে দেখে বসে থাকে, রোগীদের সময়মতো ওষুধ না দেওয়া, নিজেদের কাজ অন্যদের দিয়ে করানো। এর মধ্যে গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত-অস্বচ্ছল রোগীদের সঙ্গে তারা বেশি দুর্ব্যবহারসহ অনেক কিছু।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-