চার কোটি টাকার ‘এফডিআর’ জব্দের বিষয়ে মিজানুর রহমানের ব্যাখ্যা

২৩ সেপ্টেম্বর-২০২০ ইংরেজি (বুধবার) কক্সবাজার ভিশনসহ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় “এবার পৌর মেয়র মুজিবের শ্যালকের ৪ কোটি টাকা জব্দ” শিরোনামে যেসব সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সেগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তথ্য বিভ্রাট ওই সংবাদে আমার চরম মানহানি

হয়েছে এবং হচ্ছে। কথিত মিডিয়াগুলোর বিরুদ্ধে মানহানির বিচার চেয়ে সংশ্লিষ্ট ধারায় আমি আইনের আশ্রয় নিবো বটে।

তাছাড়া দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী “দুদক” বা সরকারের যেকোন সংস্থা স্বাভাবিকভাবেই যে কারোরই সম্পদের অনুসন্ধান বা জীবনবৃত্তান্ত খোঁজ খবর নিতে পারে। সে বিষয়ে আমার কোন আপত্তি নেই।

কিন্তু তদন্তাধিন একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন নতুন ইস্যু বানিয়ে তা আলোচনায় রাখতে কে বা কারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সেটিও আমাদের পরিষ্কার ধারনা হয়ে গেছে। সময়মতো তালিকা প্রকাশ করবো।

বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মিডিয়া উদ্দেশ্যমূলকভাবে শুধু এসব বানোয়াট খবর নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যা খুবই দুঃখজনক।
জানি, সম্প্রতি একটি অসাধু চক্র আমাদের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। তারাই ষড়যন্ত্র করছে প্রতিনিয়ত।
এরিমধ্যে প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের কাছে আমি ও আমার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিভ্রান্তিকর নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে চক্রটি। তাছাড়া কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান সম্পর্কে আমার ভগ্নিপতি হলেও এসব ঘটনায় তাঁকে জড়ানো আরও বেশি মানহানিকর এবং দুঃখজনক বলে আমি মনে করি।

সবার জ্ঞাতার্থে বলতে চাই-আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি সম্পদশালী পরিবারের সন্তান। আমার মরহুম পিতা ঝিলংজা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। সুতরাং আমাদের পরিবারের সবার নামে জায়গাজমি টাকা পয়সা থাকতেই পারে। ইতিপূর্বে সরকারের কয়েকটি মেঘা প্রকল্পে আমার ব্যক্তি মালিকানাধিন জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। সেই অধিগ্রহণের ধারাবাহিকতায় গত ১১-০৭-২০২০ ইংরেজি তারিখ কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এলএ শাখায় আমার নামে দু’টি চেক ইস্যু হয়। এরমধ্যে একটি চেক (চেক নং-১৬৩২১১) ৩ কোটি ৮১ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৯ টাকা, অপরটি (চেক নং-১৬৩২১০) ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯২৫ টাকা গ্রহণ করি।
এরপর সরকারের কাছ থেকে নিজের জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া সেই টাকা থেকে ১৯-০৭-২০২০ ইংরেজি তারিখ কক্সবাজার ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ৪ কোটি টাকার দু’টি এফডিআর করি। সেটিই এখন ‘জব্দ’র কথা বলা হচ্ছে।

অথচ, অধিগ্রহণকৃত আমার জমির খতিয়ান, নামজারী ও খাজনা দাখিলাসহ সকল প্রকার কাজগপত্র যাচাই বাছাই করে স্বয়ং সরকারেরই দেয়া চেকগুলো বুঝে পাওয়ার পর আমি ৪ কোটি টাকার সেই এফডিআরটি করেছিলাম।
সরকারের কোন সংস্থা যদি সেই টাকার বিষয়ে অধিকতর তথ্যানুসন্ধান করে তাহলে সঠিক খবরটি বেরিয়ে আসবে।

অথচ, দুঃখজনকভাবে কথিত কিছু মিডিয়ায় আমাকে এলএ অফিসের দালাল বানিয়ে প্রতিনিয়ত যেসব মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ-প্রচার করছে সে কারনে আমি ও আমার পরিবারের চরম মানহানি হচ্ছে। আমি জনবিভ্রান্তিকর সেই সংবাদগুলোর তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ব্যাখ্যা প্রদানকারী,
মিজানুর রহমান
পিতা-মৃত আবদুল গণি চেয়ারম্যান, সাং-মহুরীপাড়া, লিংকরোড, সদর, কক্সবাজার।

আরও খবর