ডেস্ক রিপোর্ট ◑ ঢাকায় নির্মিত হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম হেলিপোর্ট টার্মিনাল। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই কাওলায় প্রায় ১শ বিঘা জায়গার ওপর আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই এটি নির্মিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মানের এই হেলিপোর্ট নির্মাণে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এরইমধ্যে পরামর্শকও নিয়োগ করেছে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, ৫শ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের এই হেলিপোর্টে ৮০টি হেলিকপ্টার একসঙ্গে অবস্থান করতে পারবে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গোলচত্বর লাগোয়া দক্ষিণে রেললাইনের পূর্ব পাশে বেবিচকের নিজস্ব জমিতেই এটি নির্মিত হবে।
এভিয়েশন বিশ্লেষকদের মতে, যানজট এড়ানো ছাড়াও সময় বাঁচাতে সামর্থ্যবান ব্যবসায়ী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, হাসপাতাল মালিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিকল্প পথ খুঁজছে। ব্যক্তিগত প্রয়োজন, সিনেমার শ্যুটিং, রাজনৈতিক সভা সমাবেশে অংশগ্রহণ, রোগী পরিবহন, বিভিন্ন কোম্পানির বোর্ড মিটিং থেকে শুরু করে ঢাকায় আসা-যাওয়ায় ব্যবহার হচ্ছে হেলিকপ্টার। কিন্তু প্রতিবার উড্ডয়নের জন্য বেবিচক থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু হেলিপোর্ট নির্মিত হলে প্রতিবার আর অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন হবে না।
বেবিচক জানিয়েছে, বর্তমানে নয়টি প্রতিষ্ঠানের হেলিকপ্টারের লাইসেন্স রয়েছে। তাদের ২৭টি হেলিকপ্টার রয়েছে। আরো কয়েকটি কোম্পানি এরইমধ্যে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে।
বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভিত্তিতে হেলিকপ্টার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন আরএনআর এয়ারলাইন্সের সাতটি হেলিকপ্টার আছে।
এছাড়া সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্সের চারটি, বসুন্ধরা গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ ও স্কয়ার গ্রুপের ৩টি করে হেলিকপ্টার রয়েছে। পিএইচপি গ্রুপের ও বাংলা ইন্টারন্যাশনালের ১টি হেলিকপ্টার রয়েছে। আর বিআরবি কেবল, ইমপ্রেস এভিয়েশন ও এমএএস বাংলাদেশের ২টি করে হেলিকপ্টার রয়েছে। এর মধ্যে আরঅ্যান্ডআর, বিআরবি কেবল, বাংলা ইন্টারন্যাশনাল, পিএইচপি এয়ারলাইন্সের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হ্যাঙ্গার রয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-