ডেস্ক রিপোর্ট ◑ পরিবারে সুখ ফেরাতে অনেক স্বপ্ন নিয়ে মালয়েশিয়া পাড়ি জমিয়ে ছিলেন রফিকুল। পরিবারসহ ঘরে রেখে গেছিলেন পরিবারসহ স্ত্রী ও এক শিশু কন্যা। লালিত স্বপ্নগুলো ধরাও দিয়েছিল। গত আড়াই বছরে স্ত্রী নামে পাঠিয়ে ছিলেন ১৪ লাখ টাকাও। কিন্তু রফিকুল যখন ফিরলেন তখন কিছুই আর আগের মতো ছিল না। স্ত্রী জড়িয়ে পড়েন পরকীয়া। তাকে ফেরাতে না পেরে শেষে নিজেই নিয়ে নেন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত, বিষপানে আত্মহত্যা করেন রফিকুল।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন কাজিরবেড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রফিকুল ওই গ্রামের দিদার আলীর ছেলে।
রফিকুলের পরিবার জানায়, চার বছর আগে রফিকুরের বিয়ে হয়। পরিবারে সুখের আশায় রফিকুলে বিদেশে যায়। এর পরেই তার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। রফিকুলের পাঠানো টাকা পয়সা ও আসবাব নিয়ে সটকে পড়ে স্ত্রী। বিদেশ থেকে এসে রফিকুল স্ত্রী সন্তানকে পেতে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। এমনকি সন্তানকে একবার দেখতেও কিন্তু ব্যর্থ হয়। পরে ক্ষোভে অভিমানে বাড়িতে ফেসবুক লাইভে এসে কয়েকজনকে দায়ি করে আত্মহত্যা করে।
পরিবারের ভাষ্যমতে রফিকুল যাদের দায়ি করে গেছেন তারা হলেন- স্ত্রী মনিরা ইয়াসমিন,-শাশুড়ি আয়শা আক্তার, খালা রিনা পারভিন, খালু আব্দুল, মামা শ্বশুর মিঠু ও যশোরের লাইব্রেরি প্রিন্সিপ্যাল হাবিবুর রহমান। রফিকুল তাদের শাস্তিরও দাবি জানিয়ে গেছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোয়ারাব হোসেন জানান, কয়েক দফায় তার স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে সে মনের ক্ষোভে আত্মহত্যা করে।
নাভারনের এএসপি সার্কেল জুয়েল ইমরান জানান, রফিকুলের স্ত্রী মনিরা ইয়াসমিনকে আটক করা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-