কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক ◑
মিয়ানমারের রাখাইনে এক রোহিঙ্গা নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় দেশটির তিন সেনা সদস্যের কোর্ট মার্শাল বা সামরিক আদালতে বিচার শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুনকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে থাইল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবাদি।
খবরে বলা হয়, গেল জুনের শেষদিকে রাখাইনের রাথেদাউং টাউনশিপের উগা গ্রামে ৩৭ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা নারীকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ওই তিন সেনা সদস্য। ১০ জুলাই ওই নারী সিটওয়ে পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন। তিনি জানান, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগটি গ্রহণ করে এবং অপহরণ, ধর্ষণ ও ধর্ষণকে সহায়তার অভিযোগে তিন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
উগা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ২৯ জুন সন্ধ্যায় মিয়ানমারের ওই তিন সেনা তাদের গ্রামে আসেন। এ সময় গ্রামের পুরুষরা ভয়ে পালিয়ে যায়। তারা মনে করে, আরাকান আর্মির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তিনিসহ পাঁচ নারী ও তিন শিশুকে নিয়ে তিনি তার ঘরে লুকিয়ে ছিলেন। সেনারা পাশের বাড়িতেই অবস্থান করছিল। একপর্যায়ে তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে যায় এবং অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন দ্য ইরাবাদিকে বলেন, প্রথমে আমরা তাদের (তিন সেনা) জিজ্ঞাসাবাদ করি। এতে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে। পরে অধিকতর তদন্তে আমরা বেশকিছু প্রমাণ পাই। এক পর্যায়ে এক সেনা সদস্য স্বীকারোক্তি দেয়। এরপর আমরা কোর্ট মার্শাল গঠন করে বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-