হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ◑
অন্যের কাঁধে দোষ চাপিয়ে নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানেরই এই ব্যর্থতার দায় অস্বীকারের সুযোগ নেই। তাই দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায় অন্যের ওপর না চাপিয়ে উখিয়ায় সর্বত্রই ময়লার ভাগাড়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উখিয়া গঠনে এককভাবে স্থানীয় প্রশাসনকেই এই দায়িত্ব নেয়া জরুরি।
উখিয়ার ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, বৃষ্টির পানি নিস্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়ের ঘাটতিতে ময়লা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নিরশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানই ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করছেন পরিকল্পিত উখিয়া চাই সংগঠনটি।
পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেছেন, অন্যের কাঁধে দোষ চাপিয়ে নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানেরই এই ব্যর্থতার দায় অস্বীকারের সুযোগ নেই। তাই দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায় অন্যের ওপর না চাপিয়ে যে কোনো সংকট সমাধানে এককভাবে স্থানীয় প্রশাসনকেই এই দায়িত্ব দেয়া জরুরি।
গতকাল উখিয়া বঙ্গমাতা মুজিব মহিলা কলেজের প্রবেশ পথের সড়কটিসহ ষ্টেশন ও হাট-বাজারের ময়লা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। উখিয়ার অধিকাংশ মানুষ জানেনা ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও ময়লা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব কার। যেহেতু উখিয়া পৌরসভা নেই। তাই নাগরিক সুযোগ-সুবিধাও তেমনটি নেই। এ ক্ষেত্রে পৌরসভার বিকল্প নেই বলে অনেকেই মনে করছেন।
স্থানীয় সু-শীল সমাজের প্রতিনিধি মিজানুর রশিদ মিজান বলেন, মানবতার শহর খ্যাত উখিয়ায় রোহিঙ্গা আসার ফলে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে এখানে। এনজিওদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের অসুস্থ প্রতিযোগীতা ও সমন্বয়হীনতা এবং পারস্পরিক দোষারোপের সংস্কৃতিতে উখিয়ার বিভিন্ন সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এখন কক্সবাজার-টেকনাফ শহিদ এটিএম জাফর আলম সড়কটি সম্প্রসারিত হয়ে সড়কের ড্রেনেজ ব্যবস্থা সুন্দর হলে সড়কের আশপাশ ময়লা আবর্জনায় ভরে থাকায় দেখতে বেশ বেমানান। তাই উখিয়ার সৌন্দর্য বর্ধনে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি পরিকল্পিত উখিয়া গঠনে সকলের এগিয়ে আসা উচিত।
এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতারাও দায় এড়াতে পারেন না বলে করেন স্থানীয়রা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সড়কগুলো পরিস্কার রাখা, নিরাপদে রাস্তা পারাপারের সু-ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ ছাত্র/ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের ভাবা উচিত মলে মনে করছেন অভিভাবকরা।
সামাজিক সংগঠন কেন্দ্রীয় ফেমাস সংসদের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, বেদখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া খাল খনন করে পুরো উখিয়া উপজেলার প্রতিটি ষ্টেশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি নজরে আনতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
প্রশাসনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়মিত তদারকির ঘাটতিও লক্ষণীয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি মাসে কমপক্ষে দুইবার খাল ও ড্রেন ও সড়কের ময়লা পরিদর্শনের নিয়ম থাকলেও তা করা হয় না।
ফলে খালের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণসহ বিভিন্নভাবে খাল ভরাট হয়ে থাকে। আবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য অপসারণ, ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনা ও ময়লার বিষয়টির পাশাপাশি উখিয়া সদরের দারোগা বাজারের ড্রেনগুলোতে পতিত কঠিন বর্জ্য অপসারণ না করে একে অপরের ওপর দায় চাপানোর নজিরও আছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-