গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑
টেকনাফ ২ বিজিবি সৈনিকদের অভিযানে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা এক লাখ বিশ হাজার ইয়াবাভর্তি দুটি বস্তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
তবে এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কোন অপরাধীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।
কারণ বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে রাতের অন্ধকারে কৌশলে নাফনদীর উপকুলে ঘড়ে উঠা কেওড়া বাগানের দিকে পালিয়ে গেছে।
৮ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) গভীর রাতের দিকে টেকনাফ ২বিজিবি আওতাধীন টেকনাফ সদর বিওপিতে দায়িত্বরত সদস্যরা গোপন সংবাদে জানতে পারে মিয়ানমার থেকে একটি বড় ইয়াবা চালান নাফনদী অতিক্রম করে সাবরাং ইউনিয়ন লাফার ঘোনা উপকুল দিয়ে প্রবেশ করবে।
গোপন সংবাদের সেই তথ্য অনুযায়ী, বিজিবির একটি দল নাফনদী বিআরএম-৫’র দক্ষিণ সীমান্ত পয়েন্টে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন লোক একটি হস্তচালিত নৌকা নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঢুকার চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে দাঁড়ানোর জন্য সংকেত দেয়।
কিন্তু মাদক পাচারকারীরা বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে কেওড়া বাগানের ভেতরের দিকে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার কারনে বিজিবি সদস্যরা কাউকে আটক করতে পারেনি।
এদিকে ঘটনাস্থল তল্লাশী অভিযান পরিচালনা অপরাধীদের ফেলে যাওয়া হস্তচালিত একটি কাঠের নৌকা থেকে ইয়াবাভর্তি ২টি বস্তার ভিতর থেকে ১লক্ষ,২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) বলেন, উদ্ধারকৃত ইয়াবা গুলো পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি,গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতি ধ্বংস করা হবে।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবার চালানের সাথে যারা জড়িত।
সেই সমস্ত অপরাধীদেরকে আইনের আওয়তাই নিয়ে আসার জন্য আমাদের গোয়েন্দা সদস্যদের গোপনীয় অভিযান চলমান রয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-