গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে দেশের দক্ষিন সীমান্তে অবস্থিত টেকনাফ স্থলবন্দর। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন প্রকার প্রয়োজনীয় মালামাল আমদানি-রপ্তানি করে এই বন্দর থেকর প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করতে সক্ষম হচ্ছে সরকার।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘ ২৫ বছর আগে এই বন্দরটি প্রতিষ্টিত হয়েছিল। চলতি মাসের গত ৫ সেপ্টেম্বর (শনিবার) টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্য ক্ষ্যত এই বন্দরটি ২৫ বছর অতিক্রম করে ২৬ বছরে পদার্পন করেছে।
প্রতিবছর ৫ সেপ্টেম্বর আসলে টেকনাফ স্থলবন্দরে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও মিডিয়া কর্মীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্ষপুর্তি পালন করতো। তবে এবার ২৬ বছরে পদার্পনের বর্ষপুর্তি পালন করেনি স্থলবন্দরে কর্মরত কর্তা ব্যক্তিরা। অথচ এই স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত শত,শত কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকার মালামাল আমদানি-রপ্তানি করে সরকারকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দিচ্ছে।
টেকনাফ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্য খ্যাত এই স্থলবন্দরটি হাঁটি হাঁটি পা পা করে ২৬ বছরে পদার্পন করলেও বন্দরের আধুনিকায়ন চোঁখে পড়ার মত তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। বন্দরের ভিতরে রয়েছে নানা ধরণের সমস্যা তারপরও বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা সরকারকে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দিতে সক্ষম হচ্ছে।
তথ্য সূত্রে আরো জানাযায়, বিগত ১৯৯৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সর্ব-প্রথম টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্য চালু করা হয়েছিল। চালু হওয়ার পর প্রথম ৪টি বছর দেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত বার্ষিক রাজস্ব আয়ের কোন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি সরকার। তবে এরপর থেকে সরকার এই বন্দর থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত আছে।
৬ সেপ্টেম্বর (রবিবার) টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, এই বন্দর থেকে সরকার ২৫ বছরের মধ্যে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন প্রকার মালামাল আমদানি-রপ্তানি করে সরকারের রাজস্বের কোষাগারে জমা করেছে ১ হাজার ৮শত কোটি টাকা।
এরমধ্যে বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মিয়ামনার থেকে বিভিন্ন প্রকার নিত্য-প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি করে ১৪৩৪ কোটি,৬৪ লক্ষ,৮০ হাজার টাকা সরকারকে রাজস্ব দিয়েছে।
আবার দেশে তৈরী হওয়া বিভিন্ন প্রকার পণ্য মিয়ানমারে রপ্তানী করে সরকারকে ২৬২ কোটি ৭৫ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা রাজস্ব দিতে সক্ষম হয়েছে।
এব্যাপারে টেকনাফ স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন অভিমত প্রকাশ করে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে টেকনাফ স্থলবন্দর।তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর এই বন্দর থেকে আমরা কোটি কোট টাকা রাজস্ব আদায় করছি।
পাশাপাশি রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা আরো বৃদ্ধি করার জন্য এই স্থলবন্দরকে সার্বিক উন্নয়ন রুপরেখা তৈরী করে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে সকল ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে বলে জানান তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-