সময় নিউজ ◑
প্রতিদিনই আদালতে জমা হচ্ছে প্রদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়। চাঁদাবাজি, হত্যা, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সবটাতেই একচ্ছত্র নায়ক তিনি এবং তার বাহিনী।
২০১৯ সালের জানুয়ারির রাত দুইটা। ওসি প্রদীপের নির্দেশে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় খান জালালকে। গুলি করে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে থানায় নিয়েই দাবি করা হয় বিশ লাখ টাকা। উপায় না পেয়ে নিজের গাড়ি বিক্রি আর জমানো কিছু টাকা মিলিয়ে ১৫ লাখ টাকা দেয়া হয় ওসি প্রদীপকে। তারপরও পিছু ছাড়েনি মামলার খড়গ।
ভুক্তভোগী খান জালাল বলেন, ‘আমাকে ৩ হাজার পিচ ইয়াবা দিয়ে ধরছে। ৪ মাস আমি জেলে ছিলাম। মেজর সাহেবকে না মেরে আমাদের টেকনাফের সবাইকে মারলেও কিছু হতো না তাদের।’
চাঁদাবাজি, হত্যা, নির্যাতন সব কিছুতেই সিদ্ধহস্ত সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। তার বিরুদ্ধে একের পর অভিযোগ জমা পড়ছে আদালতে। এবার প্রদীপের বিরুদ্ধে একই পরিবারের তিনজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।
মামলার বাদি জানান, তিনজনকে ছাড়াতে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন ওসি প্রদীপ। কিন্তু দিতে না পারায় রাতেই তাদের হত্যা করেন। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি, ভাংচুর করা হয় বাড়ি।
ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমাদের হুমকি দিছিলো, যদি আমরা আইনের আশ্রয় নিই তাহলে অস্ত্র মামলায় আমাদের নাম যোগ করে দেয়া হবে। সেই ভয়ে আমরা আসতে পারিনি।’
সিনহা হত্যা মামলার বাদীর আইনজীবী সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মুস্তফা বলেন, ‘আগে যারা মুখ খুলেছেন তাদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তাই সাক্ষীদের সুরক্ষা অবশ্যই দরকার।’
মানবাধিকার কর্মী মোহসীন শেখ বলেন, ‘সবার মধ্যে
এখন একটা ভীতি আছে, যারা প্রতিবাদ করছেন এখন, তাদের ওপর পরে প্রতিশোধ নেওয়া হতে পারে।’
এখন পর্যন্ত আদালতের দৃষ্টিতে আনা সাতটি হত্যা মামলায় নিহতদের বিষয়ে সব ধরনের রেকর্ডপত্র চেয়েছেন কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-