সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল ◑
বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রূপালী ইলিশ। দীর্ঘ ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞার সুফল ভোগ করছে জেলেরা। ফের ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার ফলে সাগরে বোট যেতে পারেনি মাছ ধরতে। তাই মা, ইলিশের বড় একটি অংশ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ডিম ছেড়েছে বলে জানান জেলেরা।
এ কারণেই ইলিশের এত ছড়াছড়ি। এদিকে মৌসুম ছাড়াও বেশি পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ায় বেশ খুশি জেলেরাও। নুনিয়ারছড়াস্থ ফিশারীঘাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ কক্সবাজারের মাছের আড়তগুলোতেও ধুম পড়েছে ইলিশ বেচাকেনার। কক্সবাজারে মাছ বাজারের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন মহল্লার অলিগলিতেও এখন ইলিশের সমাহার চোখে পড়ার মতো।
এদিকে বেশি সরবরাহের কারণে ইলিশের দামও অনেক কমেছে, ফলে নিম্ন মধ্য আয়ের ক্রেতারাও বেশ খুশি। ইলিশ কিনছেন যে যার সাধ্যমতো।
শুধু ইলিশ নয়, সাগরে বিভিন্ন প্রজাতের মাছও ধরা পড়েছে। এমনকি নিম্ন অায়ের মানুষও কিনতে পারছেন ইলিশসহ অন্যান্য জাতের মাছ।
কক্সবাজার নুনিয়ারছড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে। তারা জানান, গভীর বঙ্গোপসাগর যেতেই হচ্ছে না সাগরের মোহনাতেও ইলিশসহ নানা প্রজাতের মাছ ধরা পড়ছে জালে। বেশিরভাগ ইলিশের ওজন প্রায় এক থেকে দেড় কেজি। শীত মৌসুম ছাড়া এত ইলিশ ধরা পড়ার নজির খুব কম বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজারে জসিম মাঝি ও মাছের ঘাটের আড়তদার মো, সিরাজ বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সাগর ও সাগরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। ফলে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে।
সাইফুল নামে এক বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, বাজার ছাড়াও শহরের অনেক মোড়ে মোড়ে পাওয়া যাচ্ছে তুলনামূলক কম দামে বড় সাইজের ইলিশ। এসব ইলিশ অন্যান্য সময়ের চেয়ে খেতেও সুস্বাদু। মাছ বিক্রির নির্দিষ্ট বাজার ছাপিয়ে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে শহরের অলি-গলি ও বাসা বাড়িতে।
মিজানুর রহমান নামে এক ক্রেতা জানান, এক কেজি ওজনের নদীর ইলিশের দাম সাড়ে ৬শ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রামের কেজি দাম সাড়ে ৫শ টাকা। আর ৫০০ গ্রামের কেজি সাড়ে ৩শ থেকে অড়াইশ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য প্রজাতের মাছও নাগালের মধ্যে রয়েছে।
সব মিলিয়ে সবখানে এখন ইলিশে সয়লাভ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-