গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মাথায় ভাঙা হাড়ের সাত-আটটা টুকরো জোড়া দেয়া হয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে ৭২ ঘণ্টার জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরোসার্জন মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন অস্ত্রোপচার শেষে রাত ১২ টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, ছয় সদস্যের চিকিৎসকদল প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথার জটিল অস্ত্রেপচার সম্পন্ন করেন। তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন।
আরো পড়ৃন: ইউএনওদের নিরাপত্তায় বাসভবনে থাকবে আনসার
তিনি বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় ভাঙ্গা হাড়ের ৭/৮ টুকরা ছিল। সেগুলো আমরা জোড়া দিয়েছি। জোড়া দিয়ে হাড়গুলোকে জায়গামতো বসিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি যে আরো ছোট ছোট কাটা ছিল সেগুলোর সবগুলোকে রিপেয়ার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তার মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং ব্রেনে আঘাত লেগেছে। ব্রেনের উপর একটা চাপ ছিলো সেটা আমরা রিলিফ করেছি। তবে এখনই ক্লিয়ারলি আমরা বলতে পারব না যে রোগী ভালো হয়ে যাবে। অন্তত ৭২ ঘণ্টা আমরা তার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। আমরা আশাবাদী রোগী ভালো হয়ে যাবে, বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
বুধবার গভীর রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলার সরকারি বাংলোতে হামলার শিকার হন ওয়াহিদা খানম। এ সময় তার বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। ওয়াহিদা খানমকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় আনা হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-