বিশ্ব সেরার তালিকায় ছয় ধাপ এগোলো চট্টগ্রাম বন্দর

অনলাইন ডেস্ক ◑  বিশ্বের ব্যস্ততম ১০০টি বন্দরের তালিকায় ছয় ধাপ এগিয়ে ৫৮তম অবস্থানে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম বন্দর। চট্টগ্রাম বন্দর ২০১৯ সালে এ স্থান অর্জন করে। ২০১৮ সালে যার অবস্থান ছিল ৬৪। এ নিয়ে গত এক দশকে ৩০ ধাপ এগিয়েছে এ বন্দর।

বন্দর সূত্র জানায়, সমুদ্রপথে বাংলাদেশের কনটেইনার পরিবহনের ৯৮ শতাংশ কাজ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সম্পন্ন হয়। এছাড়া এ বন্দর দিয়ে যত পণ্য পরিবহন হয়, তার ২৭ শতাংশই আনা-নেয়া হয় কনটেইনারে। বাকি ৭৩ শতাংশ পরিবহনে ব্যবহৃত হয় কনটেইনারবিহীন সাধারণ জাহাজ।

সোমবার ২০১৯ সালের কনটেইনার পরিবহনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সেরা ১০০ বন্দরের তালিকা প্রকাশ করে লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক প্রাচীন সংবাদমাধ্যম লয়েডস লিস্ট। এতে প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীনের সাংহাই বন্দর, দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর বন্দর এবং সর্বশেষ ১০০তম অবস্থানে রয়েছে থাইওয়ানের থাইপে বন্দর।

প্রথম অবস্থানে থাকা চীনের সাংহাই বন্দর ২০১৯ সালে হ্যান্ডলিং করেছিল চার কোটি ৩৩ লাখ তিন হাজার টিইইউ’স কনটেইনার। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল চার কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ২০০ টিইইউ’স কনটেইনার। যা বেড়েছে তিন দশমিক এক শতাংশ।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সিঙ্গাপুর বন্দর ২০১৯ সালে হ্যান্ডলিং করেছিল তিন কোটি ৭১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৩৬ টিইইউ’স কনটেইনার। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল তিন কোটি ৬৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টিইইউ’স কনটেইনার। যা বেড়েছে এক দশমিক ছয় শতাংশ।

৫৮ তম অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম বন্দর ২০১৯ সালে হ্যান্ডলিং করেছিল ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭ টিইইউ’স কনটেইনার। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৯ লাখ তিন হাজার ৯৯৬ টিইইউ’স কনটেইনার। যা বেড়েছে ছয় দশমিক তিন শতাংশ।

১০০তম অবস্থানে থাকা থাইওয়ানের থাইপে বন্দর ২০১৯ সালে হ্যান্ডলিং করেছিল ১৬ লাখ ২০ হাজার ৩৯২ টিইইউ’স কনটেইনার। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯৯ টিইইউ’স কনটেইনার। যা কমেছে দুই দশমিক চার শতাংশ।

লয়েডস প্রতি বছরই এ তালিকা তৈরি করে। এতে ২০১০-২০১৯ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর যথাক্রমে ৮৮, ৮৯, ৯০, ৮৬, ৮৭, ৭৬, ৭১, ৭০, ৬৪ ও ৫৮ তম স্থান অর্জন করে।

লয়েডসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত পোশাক শিল্পের রফতানির ওপর ভর করেই কনটেইনার পরিবহনে এগোচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। তবে এ বন্দরের সম্প্রসারণ জরুরি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ওই বছরে সেরা এই ১০০ বন্দর দিয়ে একক কনটেইনার পরিবহন হয়েছে ৬৩ কোটি ৪০ লাখ। যা আগের বছরের তুলনায় আড়াই শতাংশ বেশি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এ অর্জনের পেছনে বন্দরের পাশাপাশি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বন্দর ব্যবহারকারীদের অবদান রয়েছে। পতেঙ্গা টার্মিনাল, বে-টার্মিনাল এবং লালদিয়া টার্মিনাল যুক্ত হলে ভবিষ্যতে আরো উন্নতি করবে চট্টগ্রাম বন্দর।

আরও খবর