টেকনাফে মালিকবিহীন পাওয়া গেলো ১ লক্ষ ৪০ হাজার ইয়াবা!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑ 

মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা টেকনাফ উপজেলা নাফনদী উপকুলের বিভিন্ন পয়েন্টে দিয়ে পুণরায় বৃদ্ধি পাচ্ছে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা বস্তা বস্তা ইয়াবার আগ্রাসন এবং মাদক পাচারে জড়িত রোহিঙ্গা অপরাধীদের অপতৎপরতা!

অনুসন্ধানে দেখা যায়, বর্তমানে মাদক কারবারে জড়িত বেশীর ভাগ অপরাধী হচ্ছে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা। এই রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী,সাগর অতিক্রম করে মিয়ামার থেকে পাচার করে নিয়ে আসছে লক্ষ লক্ষ বস্তাভর্তি ইয়াবার চালান।

এদিকে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা হোয়াইক্যং খারাংখালী সীমান্ত এলাকা থেকে ১লক্ষ,৪০ হাজার ইয়াবাভর্তি ২টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করেছে।

কিন্তু এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কোন ব্যাক্তিকে আটক করতে পারেনি বিজিবি!
কারণ ইয়াবা পাচার কাজে জড়িত অপরাধী বিজিবির চোঁখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

বিজিবি প্রেস বার্তায় জানা যায়, টেকনাফ ২বিজিবির আওতাদ্বীন হোয়াইক্যং খারাংখালী বিওপিতে দায়িত্বরত সদস্যরা গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে নাফনদ অতিক্রম করে মিয়ানমার হতে বড় একটি ইয়াবার চালান বাংলাদেশের সীমান্ত উপকুলে প্রবেশ করবে।

উক্ত গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী ২৯ আগস্ট (শনিবার) গভীর রাত ১০টার দিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের অন্তর্গত খারাংখালী সীমান্ত বিওপিতে কর্মরত বিজিবি টহল দলের সদস্যরা নাফনদী উপকুলে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর মাদক পাচারে জড়িত এক যুবক নাফনদ সাঁতরিয়ে বেড়িবাঁধের উপর উঠার সময় বিজিবি তাকে চ্যালেঞ্জ করে থামানোর চেষ্টা করে।

কিন্তু ইয়াবা পাচারে জড়িত অপরাধী বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে তার সাথে থাকা প্লাস্টিকের ২টি বস্তা ফেলে দিয়ে নদীতে লাপ দিয়ে সাঁতরিয়ে বাংলাদেশের শুন্যরেখা অতিক্রম করে সু-কৌশলে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এরপর বিজিবি ঘটনাস্থল তল্লাশী করে অপরাধীর ফেলে যাওয়া ২টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে তার ভিতর থেকে ১লক্ষ,৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

বিজিবির দাবী এই ইয়াবা গুলোর আনুমানিক মুল্য ৪কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।

মালিকবিহীন এই ইয়াবার চালানটির উদ্ধারের,
সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) বলেন।

মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীরা আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে ইয়াবা পাচার অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা তাদের সেই অপচেষ্টা প্রতিরোধ এবং অপরাধীদের আইনের নিয়ে আসার জন্য মাদক বিরোধী চলমান এই অভিযানকে আরো জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি।####

আরও খবর