কুয়াকাটা প্রতিনিধি ◑ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেছেন, ‘কুয়াকাটা ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। ইতিমধ্যে পাউবো’র সচিব ও মহাপরিচলকসহ একটি প্রতিনিধি দল নেদারল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন। সেখানে জনগণের জন্য নদী ও সমুদ্র ভাঙন রোধে যে ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। একইভাবে ওই দেশের প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেঁকসই বেড়িবাঁধসহ সৈকত ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প নেয়া হবে।
শনিবার শেষ বিকালে কুয়াকাটা সৈকতের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নদী ও সমুদ্রের চারিত্রিক বৈশিষ্ট নির্নয় করে ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প তৈরি করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানে হবে। সেখানে সম্ভাব্যতা যাচাই বাছাই শেষে একনেকে পাঠানোর হবে। এছাড়া উপকূলীয় বেরীবাঁধ উন্নয়নে একটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই কুয়াকাটা সৈকত ভাঙন রক্ষার কাজ শুরু হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৈকতে যতদিন অস্থায়ীভাবে দেয়া জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ছিল ততদিন সৈকত ভাঙেনি। স্থানীয় মানুষকে সচেতন হতে হবে এগুলো যাতে নষ্ট না হয়।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী সড়ক পথে কুয়াকাটায় আসেন। এর পর তিনি অস্বাভাবিক জোয়ারের প্রভাবে বিধ্বস্ত-বিপর্যস্ত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পরিদর্শণ করেন।
এসময় পটুয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মহিব এমপি , পাউরো’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, বরিশাল বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো.হারুন অর রশীদ, পাউবো’র প্রকল্প পরিচালক (সিইআইপি-১) মোহাম্মদ আলী, পাউবো’র পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় ট্যুারিজম ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে প্রতিমন্ত্রীর সামনেই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-