ডেস্ক রিপোর্ট ◑ অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দেয়া এপিবিএন-এর কনস্টেবল আব্দুল্লাহর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ৩১ জুলাই রাতে এপিবিএন-এর চেকপোস্টে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান যখন পুলিশের গুলিতে নিহত হন তখন ঘটনাস্থলেই ছিলেন আব্দুল্লাহ। ঘটনার আগেই বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলী এবং এসআই নন্দলালসহ পুলিশ সদস্যরা চেকপোস্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের প্রাইভেটকারকে থামার সিগন্যাল দেন এপিবিএন-এর কনস্টেবল রাজিব। এরপরই লিয়াকত আলী ও তার সঙ্গীরা প্রাইভেটকারের গতিরোধ করেন। তারা আরোহীদের দুই হাত উঁচু করে বেরিয়ে আসার জন্য বলেন।
কনস্টেবল আব্দুল্লাহ বলেন, প্রথমে সিফাত গাড়ি থেকে নেমে আসেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হেফাজতে নেন এপিবিএন-এর এএসআই শাহজাহান। পরে ড্রাইভিং সিটে থাকা অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিজের পরিচয় দিয়ে গাড়ি থেকে নামেন। তাকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে মুহূর্তেই চারটি গুলি করেন লিয়াকত আলী। গুলিগুলো তার গলার নিচে, বুকের বাম পাঁজরে বিদ্ধ হয়। এরপর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক প্রদীপ কুমার দাশকে জানান লিয়াকত। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাশ জানান, বুধবার রাত ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত এপিবিএন-এর কনস্টেবল আব্দুল্লাহর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক তামান্না ফারাহ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-