প্রেস বিজ্ঞপ্তি ◑
করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকা বিশ্বের সর্ববৃহৎ কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত নিষেধাজ্ঞা ১৭ই আগস্ট খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য।
পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কক্সবাজারের তরুণদের প্লাটফর্ম উই ক্যানের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ।
১৮ আগষ্ট সকাল সাড়ে দশটায় লাবণী পয়েন্টের বিজিবি উর্মি ক্যাফেতে দিনব্যাপী সচেতনমূলক কার্যক্রমের শুভ উদ্ধোধন করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল অবঃ ফোরকান আহমেদ।
এসময় উই ক্যান প্লাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও দলনেতা ওমর ফারুক এর সঞ্চালনায় শুরুতেই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন ফোরকান আহমেদ।
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। এই তরুণরা সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্যে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
আজকের তরুণরা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত। উই ক্যান প্লাটফর্মের পক্ষ থেকে করোনার এই সময়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকান্ড হাতে নেওয়া হয়েছে, ভবিষ্যতেও এ সকল কর্মকান্ড চলমান থাকবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
পাশাপাশি তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই প্লাটফর্ম সহ কক্সবাজারের সকল তরুণদের সম্পৃক্ত করে সকল কাজে তাদের মতামত ও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
কাজেই তরুণদের আরও দক্ষ হয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। তবে তরুণদের পড়াশুনাকে বেশি গুরুত্বের সাথে নিয়ে সামাজিক কাজগুলো চালিয়ে যেতে হবে।
তাহলেই এই তরুণরাই একদিন মানবসম্পদে রূপান্তরিত হবে।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে তিনি উই ক্যান প্লাটফর্মের সদস্যদের মাঝে চারাগাছ, মাস্ক, সচেতনমূলক লিফলেট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।
এরপরই সৈকতে আগত পর্যটকদের সচেতনমূলক লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা, হ্যান্ড মাইক নিয়ে স্বাস্থ্যগত বার্তাগুলো প্রচার করে উই ক্যান প্লাটফর্মের সদস্যরা।
এসময় ৫০ জন বীচ কর্মীকে বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ওষুধী গাছের চারা বিতরণ ও সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের তরুণ ওমর ফারুক বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে থমকে গেছে পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। কক্সবাজার তথা চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষদের মাঝে স্বাস্থ্যবিষয়ক বার্তাগুলো আমরা স্থানীয় ভাষায় উঠান বৈঠক, বিভিন্ন গণজমায়েতে মানুষদের স্বাস্থ্য বিষয়ক বার্তা প্রচার, লিফলেট বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ, সদস্যদের নিজেদের অর্থায়য়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও ডিজিটাল মাধ্যম ফেইসবুক ব্যবহার করে স্বাস্থ্যবিষয়ক বার্তাগুলো ভিডিও ও সচেতনমূলক ডিজিটাল ফেস্টুন তৈরি করে প্রচার করা হয়।
পাশাপাশি যুবদের দক্ষতা বিষয়ক বিভিন্ন লাইভ অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। যেখানে ১২টি দেশের প্রায় ৩৪জন তরুণকে এখানে সংযুক্ত করা হয়। একই সাথে বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকাদের নিয়ে বিভিন্ন দক্ষতা বিষয়ক লাইভ অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু দীর্ঘদিন পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কাজেই পর্যটকরা যেনো স্বাস্থ্যবিষয়ক বিষয় গুলো মেনে চলে সে লক্ষ্যেই আমাদের দিনব্যাপী এই সচেতনমূলক কার্যক্রম।
এছাড়াও উক্ত অনুষ্টানে উপস্থিত “উই কেন” এর ৬০ জন কার্যকরী সদস্যদের আইডি কার্ড এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় এবং আগামীতে কক্সবাজারের এই পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্লেন নিয়ে আলোচনা হয়, আশা করছি আগামীতে “উই কেন” এর সকল কার্যক্রম চলমান থাকবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-