শাহেদ মিজান ◑
র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ বলেছেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা চার পুলিশ সদস্য সাত আসামী চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে তদন্তের কার্যক্রম আরো এগিয়ে নেয়া হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের দেয়া তথ্য আপাতত প্রকাশ করা যাবে না।
বুধবার (১৯ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টায় র্যাব ১৫ এর কার্যালয়ে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর, গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্য্যপূর্ণ। অত্যন্ত সতকর্তা, পেশাদারিত্ব ও গুরুত্বের সাথে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। তদন্ত কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে এগুচ্ছে। ইতোমধ্যে এই মামলায় ১৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামী সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী, নন্দদুলাল রক্ষিতসহ গ্রেফতারকৃত আসামীদের রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদ, প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, আলামতসহ সংশ্লিষ্ট সামগ্রিক কিছু নিয়ে এই মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ বলেন, এই মামলার তদন্ত বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আসামীদের বক্তব্য, ঘটনার আলামত ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যসহ যা যা দরকার সব নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসবের অধিকাংশই আমরা সম্পন্ন করেছি। সর্বশেষ আজ (বুধবার) তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ কর্তৃক জব্দ করা সিনহা ও তার সহযোগীদের হার্ডডিস্ক ডিভাইস ২৯টি সামগ্রী আমাদের কাছে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামীকাল সেগুলো আমরা হাতে বলে মনে করছি। অন্যদিকে সিনহার বোনের দায়ের করা মামলার নয় আসামীর মধ্যে যে দুইজন আসামী গ্রেফতার হয়নি তাদের পরিচয় সনাক্তের জন্য পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
টেকনাফ থানা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে র্যাবের এই মিডিয়া প্রধান বলেন, অঘটন ঘটলে যে কেউ এমন ঘটনা ঘটায়। থানার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবও এমন ঘটনা। সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়ার জন্য আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছি। আশা করছি তাও পেয়ে যাবো।
পুলিশ সুপারসহ যাদের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা সে প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ বলেন, যাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে তাতে সব আমাদের দেখা বিষয় নয়। এই মামলার তদন্তে যাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য দরকার তাদের ব্যাংক হিসাব সম্পর্কে আমরা তথ্য নেবো।
মামলা তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মামলা যিনি তদন্ত করছেন তিন একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ ও চৌকস সিনিয়র কর্মকর্তা। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা, সতর্কতা, পেশাদারিত্ব ও গুরুত্বের সাথে তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তাঁর এই প্রচেষ্টায় একটি বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দেয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-