গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑
টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সাদ্দাম হোসেন নামের এক যুবক নিহতের ঘটনায় আদালতে দায়ের করা এজাহারটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করার নিদের্শ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে কক্সবাজার জৈষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-২) মো.হেলাল উদ্দিন এই আদেশ দেন।
সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, গত ৫ জুলাই টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা ইউনিয়ন মৌলভী পাড়া এলাকার সুলতান আহম্মমদের পুত্র সাদ্দাম হোসেনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এরপর নানাভাবে হুমকি প্রদান করে সাদ্দামের পরিবারের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে পুলিশ। এরপর তাদের চাহিদা মত টাকা আদায় করতে না পেরে গত ৭ জুলাই পুলিশের সাথে কথিক ‘বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা দেখিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর তার মা গুল চেহের বাদি হয়ে হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে আদালতে একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারটি আমলে নিয়ে বিচারিক সিআইডি’র সহকারি পুলিশ সুপার মর্যাদার এক কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করে।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, এই মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মশিউর রহমানকে ২নং আসামী করা হয়েছে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। এসআই সুজিত চন্দ্রসহ সর্বমোট ২৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ জন পুলিশ সদস্য ও একজন দফাদার রয়েছে।
উল্লেখ্যে, গত ৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় সিনহার বোনের দায়ের করা মামলার অভিযুক্ত আসামী ওসি প্রদীপসহ তিন পুলিশ সদস্য র্যাবের হাতে রিমান্ডে রয়েছে।###
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-