গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑
টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা আবারও হ্নীলা নাফনদী সীমান্ত এলাকা থেকে তিন লাখ নব্বই হাজার ইয়াবাভর্তি ৫টি বস্তা উদ্ধার করেছে।
তবে এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কোন অপরাধীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। কারণ পাচারকারীরা প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
বিজিবির পাঠানো তথ্য সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ ২বিজিবির আওতাধীন হ্নীলা দমদমিয়া বিওপির দায়িত্বরত সদস্যরা গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে মিয়ানমার হতে একটি বড় ইয়াবার চালান বাংলাদেশের সীমান্ত উপকুলে প্রবেশ করবে।
উক্ত গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ আগস্ট (শনিবার) রাত ৮টার দিকে বিজিবির একটি চৌকষ দল দমদমিয়া নাফনদী ওমরখাল সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর নাফনদীর মাঝখানে গড়ে উঠা মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা লালদিয়া নামক দ্বীপ এলাকা দিয়ে মাদক পাচারে জড়িত ৩/৪ জন যুকক নাফনদী হয়ে বাংলাদেশ জলসীমায় পৌঁছলে বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে অপরাধীরা বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যে সু-কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এরপর বিজিবি টহল দল তাদের ধাওয়া করলে অপরাধীরা তাদের সাথে থাকা ইয়াবাভর্তি ৫টি বস্তা ‘ ফেলে দিয়ে কৌশলে মিয়ানমার নাফনদী লালদিয়া দ্বীপের উপকুলে গড়ে উঠা কেওড়া জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। অবশেষে ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবাভর্তি ৫টি বস্তা তল্লাশী করে তার বস্তা গুলোর ভিতর থেকে ৩ লাখ, ৯০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
বিজিবির দাবী এই ইয়াবা গুলোর আনুমানিক মুল্য ১১কোটি,৭০ লক্ষ টাকা।
মালিকবিহীন এই ইয়াবার চালানটির উদ্ধার করার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) বলেন।
মাদক পাচার প্রতিরোধে বিজিবি সদস্যরা টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে মাদক পাচার অব্যাহত রাখার জন্য অপরাধীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছে।
তাদের সেই কৌশল প্রতিহত করতে বিজিবি সদস্যদের মাদক বিরোধী এই চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-