মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় নতুন তদন্ত কর্মকর্তা (Investigation Officer-আইও) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন আইও এর নাম মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। তিনি র্যাবে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের একজন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার। বিষয়টি র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে: কর্ণেল আশিক বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানান, ৩১ জুলাই রাতে নিহত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের করা জিআর : ৭০৩/২০২০, যার টেকনাফ থানার ৯/২০২০ নম্বর মামলায় গতকাল ১৩ আগস্ট তাঁকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরআগে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জামিল আহমেদ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। লে: কর্ণেল আশিক বিল্লাহ আরো বলেন, আইও হিসাবে নতুন নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম একজন মেধা সম্পন্ন দূরদর্শী ও বিচক্ষণ কর্মকর্তা। অতীতে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর মামলার আইও হিসাবে তিনি সুনাম ও সফলতার সাথে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি বলেন, নতুন আইও র্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নেতৃত্বে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামি বরখাস্ত হওয়া ৪ পুলিশ সদস্য কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া এবং সন্দেহজনক তিনি আাসামী টেকনাফের বাহারছরার মারশবনিয়া এলাকার নাজিম উদ্দিন নাজু’র পুত্র নুরুল আমিন, নজির আহমদের পুত্র নিজাম উদ্দিন ও জালাল আহমদের পুত্র মোহাম্মদ আয়াছকে শুক্রবার ১৪ আগস্ট সকালে জেলা কারাগার থেকে রিমান্ডের জন্য আইও এর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গত ৮ ও ৯ আগস্ট কক্সবাজার কারাগার ফটকে ৪ আসামি-কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় আইও। ফলে তাদেরকে আরো ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে ১২ আগস্ট শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের জন্য ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তামান্না ফারাহ্।
গত ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে খুন হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস পুলিশের ৯ সদস্যকে আসামি করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ) এর আদালতে গত ৫ আগস্ট হত্যা মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে, পুলিশ ও নুরুল আমিন নামক একজন আসামীর পক্ষে এর আগে রামু ও টেকনাফ থানায় পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-