যেই লাউ, সেই কধু: টেকনাফে আবারো বস্তাভর্তী ইয়াবার বৃহৎ চালান উদ্ধার!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑
টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে এখনো পাচার হয়ে আসছে লক্ষ লক্ষ বস্তাবন্ধি মরননেশা ইয়াবার চালান!

তথ্য অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, মাদক পাচার প্রতিরোধ করার জন্য দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে স্থানীয় আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক পাচার প্রতিরোধ ও পাচারে জড়িত অপরাধীদের দমন করার জন্য পরিচালনা করে যাচ্ছে সাঁড়াশী অভিযান। উক্ত অভিযানে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার করার পাশাপাশি টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে টেকনাফ উপজেলায় কর্মরত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মাদক কারবারে জড়িত ২০৪জন অপরাধী মারা যায়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে,

বন্দুকযুদ্ধে এত মাদক কারবারী মারা গেলে? তারপরও মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আসা অব্যাহত রয়েছে।

সেই ধারাবাহিকতার সূত্র ধরে টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা ২ লাখ,৩০ হাজার বস্তাবন্ধি ইয়াবার বৃহৎ একটি চালান উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি।
বিজিবির পাঠানো তথ্য সুত্রে জানাযায়,গত ১১ আগস্ট (মঙ্গলবার) রাত ৯টার দিকে টেকনাফ ২বিজিবির আওতাদ্বীন হোয়াইক্যং খারাংখালী বিওপির দায়িত্বরত সদস্যদের একটি টহল দল গোপন সংবাদে জানতে পারে মিয়ানমার হতে বড় একটি ইয়াবার চালান দেশের সীমান্তে উপকুলে প্রবেশ করবে।

সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী খারাংখালী নাফনদী সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর মিয়ানমার হতে একটি হস্ত-চালিত নৌকায় করে কয়েকজন পাচারকারী বাংলাদেশের কিনারায় পৌঁছলে বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করলে মাদক পাচারে জড়িত অপরাধীরা মিয়ানমারের দিকে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরপর বিজিবি টহল তাদের ধাওয়া করলে নাফনদীর মাঝখানে গিয়ে নৌকা হতে লাফ দিয়ে পাচারে জড়িত অপরাধীরা মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। তৎপর বিজিবি নৌকাটি তাদের আয়ত্বে নিয়ে এসে তল্লাশী করে ইয়াবাভর্তি ২টি বস্তার ভিতর থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

এই ইয়াবার চালানটির উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান(পিএসসি) বলেন।
মাদক পাচার প্রতিরোধে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার অব্যাহত রাখার জন্য অপরাধীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছে।

তবে তাদের সেই কৌশল প্রতিহত করতে বিজিবির মাদক বিরোধী চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে আইন-শৃংখলা বাহিনীর কথিত বন্দুকযুদ্ধে এত অপরাধী নিহত হওয়ার পরও মিয়ানমার থেকে ইয়াবা চালান আসা বন্ধ না হওয়ায় সাধারন মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া।

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক স্থানীয় এক নেতা প্রতিবেদকের মোবাইলে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,যেই লাউ, সেই কদু, এত মানুষ বন্দুকযুদ্ধে মারা গিয়ে কি লাভ হলো, মাদক পাচার তো বন্ধ হলোনা।

আরও খবর