সময় টিভি:
সাবেক মেজর সিনহার পরিবারের করা মামলার পলাতক ২ আসামি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব বলছে, ২ জনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ চলছে। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, পুলিশের দেওয়া তথ্যে মামলার এজাহারে থাকা ২ জন কক্সবাজার পুলিশের সদস্য নয়।
পুলিশের গুলিতে সাবেক মেজর সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনায় তার পরিবারের করা মামলায় বৃহস্পতিবার তৎকালীন টেকনাথ থানার ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামি আত্মসমর্পণ করলেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া দুই আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তারা সিভিলিয়ান না আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য? ঘটনায় তাদের তাদের নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজালের।
মামলার এজাহারে ৮ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এসআই টুটুলকে। যদিও তার পিতার নাম দেওয়া হয়েছে অজ্ঞাত। একই অবস্থা এজাহারে থাকা ৯ নম্বর আসামি কনস্টেবল মোস্তফা। এজাহারে বর্তমান ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, টেকনাফ মডেল থানা, কক্সবাজার।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাবও এখনও এদের হদিস করতে পারেনি। বলছে, এই ২ আসামির বিষয়ে খোঁজ-খবর চলছে।
র্যাব পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, মোট ৯ আসামির নাম এজহারভুক্ত হয়, যে ব্যাপারে আমরা অনুসন্ধান করেছি। বাকি দুজন আসামির ব্যাপারে আমরা যাচাই-বাছাই করছি।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, মামলার এজাহারে থাকা পলাতক ২ আসামির কেউই কক্সবাজারের পুলিশের সদস্য নন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে যে দুজন আছে তারা কক্সবাজারের এখানে কেউ কাজ করে না।
গত ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুরের পাহাড়ি এলাকা থেকে শুটিংয়ের কাজ শেষে ফেরার পথে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা রাশেদ খান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-