সিনহা হত্যা মামলার ৪ আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ, ৩ আসামীকে এখনো রিমান্ডে নেয়নি

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যা মামলার জেলে থাকা ৪ আসামীকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের গেইটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) হত্যাকান্ডের বিষয়ে শনিবার বেলা আড়াইটা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা হলেন, পুলিশের বহিস্কৃত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।

এর আগে ৪জনকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ ও বাকী ৩জনের প্রত্যেককে ৭দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করার বিজ্ঞ বিচারকের আদেশ আদালত থেকে একইদিন বেলা ২টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পৌঁছানো হয়। শনিবার ৮ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে এ প্রতিবেদন তৈরি করার আগ পর্যন্ত উল্লেখিত ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অব্যাহত ছিলো বলে সূত্রটি জানিয়েছেন।

সূত্র আরো জানিয়েছে, রিমান্ডের আদেশ পাওয়া ৩ আসামীকে এখনো তদন্তকারী কর্মকর্তার হেফাজতে নেওয়া হয়নি। ৪জনের প্রত্যেককে ২ দিন করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলেই রিমান্ড মঞ্জুর করা ৩ আসামীকে কারাগার থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তার হেফাজতে নিয়ে রিমান্ড করা হবে।

যে ৩জনকে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে, তারা হলো- বরখাস্ত হওয়া টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী (বরখাস্ত) ও এসআই নন্দলাল রক্ষিত (বরখাস্ত)।

টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (আদালত নম্বর-৩) এর বিজ্ঞ বিচারক মোহাং হেলাল উদ্দিন কক্সবাজার জেলা পুলিশের বহিস্কৃত ৭ আসামী মধ্যে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী ও নন্দলাল রক্ষিত কে ৭দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর ও বাকী ৪আসামীকে ২ দিন করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন।আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ৬ আগস্ট এ আদেশ দেন।

আদালত থেকে রিমান্ড ও জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী, এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে ইতিমধ্যে চাকুরী থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই খুন হওয়া মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের বড়বোন ও মোঃ শামসুজ্জামানের সহধর্মিণী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস (৪২) বাদী হয়ে চাকুরী থেকে বরখাস্ত হওয়া প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী সহ ৯জনকে আসামী করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৫ আগস্ট সকালে এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানার মামলা নম্বর : ৯/২০২০, সিআর মামলা নম্বর : ৯৪/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ)।

আরও খবর