উখিয়ায় গরুর দাম কম হলেও মসলার দাম বেশি

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ◑
আর মাত্র ৫ দিন পর ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। ঈদের দিন এগিয়ে আসায় উখিয়াসহ পুরো কক্সবাজারে গরুর দাম কমতে থাকলেও মোকামগুলোতে বাড়তি দামে বিক্র হচ্ছে লবঙ্গ, এলাচ ও দারুচিনির দাম। জিরা, আদা, জায়ফলসহ অন্যান্য মসলার দামও একটু বেশি। তবে পেঁয়াজের দাম কম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এলাচের দাম কেজিতে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। লবঙ্গের দাম কেজিতে ৩০০ টাকা এবং দারুচিনি ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

গতকাল উখিয়া দারোগা বাজারের বিভিন্ন দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দারুচিনি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা। আবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এলাচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে। লবঙ্গের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে।

স্থানীয় উখিয়া দারোগা বাজার, কোটবাজার ও মরিচ্যা বাজারের চেয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন কুতুপালং বাজার, বালুখালি বাজারে দাম একটু বেশি বলে জানা গেছে। বিক্রেতারা মসলা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন। মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারা বছর দেশে যে পরিমাণ মসলা বিক্রি হয়, তার অর্ধেক হয় কোরবানির ঈদের সময়ে। পাইকারি বাজারে এলাচ, দারুচিনি ও লবঙ্গের দাম বেড়েছে। তবে গত কোরবানি ঈদের তুলনায় মসলার দাম একটু কম। ঈদকেন্দ্রিক কেনাবেচা শুরু হওয়ায় পাইকাররা সব ধরনের মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। পেঁয়াজ রসুনের দাম অনেক কম।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনা শুরুর পর থেকেই মসলার দামে বেশ অস্থিরতা বিরাজ করছে। তখন মসলার চাহিদা ও বিক্রি তুলনামূলক কম ছিল। ফলে দামও নাগালের মধ্যে ছিল। মানুষ এখন বাইরে বের হয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছে। এ কারণে মসলার দাম বেড়ে গেছে। সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ নিত্যপণ্যসহ সার্ভিক জটিলতার মধ্যে আছে। এর মধ্যে আবার বেড়েছে মসলাম দাম। হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনো সিন্ডিকেট কাজ করছে কি-না তা সরকারের সংশ্লিষ্টদের নজর রাখা উচিত বলে মনে করছেন তারা।

এদিকে কোরবানির পশুকে ঘিরে খামারি থেকে শুরু করে গ্রামের হাট-বাজারেও মহা ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। তবে করোনার কারণে পশু কোরবানির হার কমে গেলে দর পড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।

যদিও লোকসানে পশু বিক্রি করতে রাজি নন তারা, তবে অন্তত ব্যয় উসুল হলেও পশুটি ক্রেতার হাতে তুলে দেয়ার চিন্তাও রয়েছে গরু ব্যবসায়ীদের। গরু ব্যবসায়ী নুরুল আলম বলেন, গত চার মাসে পশু লালন-পালনে ব্যয় এতটাই বেড়েছে যে, দর নির্ধারণেও হিসেব গড়মিল লেগে গেছে। সেই হিসেবে পশুর দাম বাড়াটাও স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা পশুর দাম অত্যন্ত কম। ক্রেতা নেই। আমরা মহা চিন্তায় আছি। ক্রেতারা বলছেন, এখনো গরুর দাম অনেক কম।

আরও খবর