ডেস্ক রিপোর্ট ◑ বন্দরের সোনালী ব্যাংকের ঘুষ লেনদেনের টাকাসহ বিপুল পরিমাণ অর্থ ও চেকসহ তিনজনকে আটক করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই)। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এনএসআই তাদের আটকের পর বন্দর নিরাপত্তা বিভাগে তাদের হস্তান্তর করে।
এ সময় নগদ ২৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ৪০০ টাকা, ১৬৮টি স্বাক্ষর করা ব্ল্যাংক চেক, ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪৯ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রশিদ, ১শ টাকা মূল্যমানের ৩০টি প্রাইজবন্ড ও তিনটি চেকবইসহ তাদের আটক করা হয়। আটকৃতরা হলেন, বন্দর মেরিন বিভাগের লস্কর মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৮), প্রকৌশল বিভাগের খালাসী আব্দুল মান্নান (৫২) ও একই বিভাগের এস এস টেন্ডর মো. আবুল কালাম (৫২)।
বন্দর সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে নগদ টাকা, ব্ল্যাঙ্ক চেক ও প্রাইজবন্ডসহ প্রতারক আটক হয়েছে। এছাড়া তাদের কাছে টাকা জমাদানের তিনটি কাগজ পাওয়া গেছে যার টাকার পরিমাণ প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। আটক তিনজন কর্মচারী বন্দরের বিভিন্ন সদস্যদের সাথে সুদের ব্যবসা এবং ঘুষের মাধ্যমে ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কাজ করতো।
আটকৃতদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ও তাদের সহায়তায় বন্দরের তিন কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছে নগদ সাড়ে ২৫ লক্ষ টাকার বেশি অর্থ, ১৬৮ টি ব্ল্যাংক চেক ও ১শ টাকা মূল্যমানের ৩০টি প্রাইজবন্ড পাওয়া গেছে। তারা বর্তমানে বন্দর নিরাপত্তা বিভাগের হেফাজতে আছে। যেহেতু তারা বন্দরের কর্মচারী তাই তাদের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে এবং তাদের ওই টাকার উৎস প্রসঙ্গে তথ্য নেওয়া হবে। তারা মূলত বন্দর কর্মচারীদের ব্যাংক লোন পাইয়ে দেওয়ার কাজ করতো এবং সুদে নগদ টাকার ব্যবসা করতো বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের বিভাগীয় তদন্তশেষে দোষী প্রমাণিত হলে চাকরিচ্যুতও হতে পারেন তারা’।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-