অপমানের প্রতিশোধ নিতেই একই পরিবারের চারজনকে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক ◑ সুদের টাকা ফেরত না পেয়ে সাগর আলীকে বকাঝকা করেন আব্দুল গণি মিয়া। এতে অপমানিত বোধ করায় গণি মিয়া ও তার পরিবারের আরো তিন সদস্যকে চেতনানাশক খাইয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেন তিনি।

রোববার বিকেলে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাবের কাছে এসব তথ্য জানান চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা সাগর আলী। এর আগে মধুপুরের ব্রাহ্মণবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আবু নাঈম মোহাম্মদ তালাত জানান, নিহত আব্দুল গণি সুদের ব্যবসা করতেন। তার সঙ্গে আগে থেকেই সাগর আলীর সুদের লেনদেন ছিল। তিনি বেশ কয়েকবার গণি মিয়াকে সুদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হন। মঙ্গলবার আবারো আব্দুল গণির কাছে দুইশ টাকা চান তিনি। ওই সময় রেগে তাকে বকাঝকা করে তাড়িয়ে দেন গণি মিয়া। এতে অপমানিত বোধ করায় এক সহযোগীকে নিয়ে হত্যা ও টাকা-মূল্যবান মালামাল লুটের পরিকল্পনা করেন সাগর।

মেজর তালাত জানান, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সহযোগীকে নিয়ে বুধবার রাতে গণি মিয়ার বাড়িতে যান সাগর। পূর্বপরিচিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বাড়িতে ঢোকার অনুমতি পান তিনি। এরপর চেতনানাশক ব্যবহার করে গণি মিয়া ও বাকি তিনজনকে অচেতন করে কুড়াল ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর বাড়ির মূল্যমান মালামাল লুট করে বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যান সাগর আলী ও তার সহযোগী।

র‍্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেফতারের পর সাগর আলীর দেয়া তথ্যে তার বোনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ি (মজিদ চালা) থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও লুটের মালামাল উদ্ধার করা হয়। সাগরের সহযোগীকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার সকালে মধুপুর সদরের মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী আব্দুল গণি মিয়া, তার স্ত্রী তাজিরন বেগম, ছেলে তাজেল ও মেয়ে সাদিয়ার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই রাতেই মামলা করেন নিহত গণি মিয়ার বড় মেয়ে সোনিয়া বেগম। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে মধুপুরের গোলাবাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে চারজনকে দাফন করা হয়।

আরও খবর