যুগান্তর ◑
কক্সবাজার শহরের মাঝিরঘাটস্থ বাঁকখালী নদী থেকে খালাসের সময় এক কোটি ইয়াবা লুটকারীর মূলহোতা মিজানকে বেনাপোল থেকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বাংলাদেশে ঢোকার পথেই বেনাপোল থকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।
জানা যায়, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ইয়াবার এই বিশাল চালানটি লুটের পর মিজান ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেই ইয়াবাগুলো বিক্রি করে।
পরে বিষয়টি কক্সবাজার শহরজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠলে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিজান শহরের বিমানবন্দর রোডস্থ একটি যাত্রী পরিবহনে চট্রগ্রাম চলে যায়।
ওই সময় চট্রগ্রামের পাঁচলাইশ থানার আশপাশে মিজান ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অবস্থান করে। এক পর্যায়ে ওই দিন রাতেই বিমানযোগে ভারত পালিয়ে যায় ইয়াবা লুটের প্রধান হোতা।
পরে মিজানের মোবাইলের সিডিএমএস পর্যাবেক্ষণ ও বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের সঙ্গে কথা বলে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবর নিশ্চিত হয় পুলিশ।
দীর্ঘ ৫ মাস পরে মিজান সড়ক পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় শুক্রবার বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে এবং বিষয়টি কক্সবাজার জেলা পুলিশকে অবগত করে।
ইমিগ্রেশন পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, শুক্রবার রাতেই কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি দল মিজানকে আনার জন্য বেনাপোলের উদ্দেশ্যে রাওনা দেন। জেলা পুলিশের বিশ্বস্থ সূত্রমতে, শনিবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশের দলটি যশোর পর্যন্ত পৌছেঁছে।
এদিকে ইয়াবা লুটের পর ওই সময় মিজান পালিয়ে গেলেও তার প্রধান দুই সহযোগী ফিরোজ ও সহোদর মোস্তাককে ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে দুই লাখ ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ।
মিজানের আটকের বিষয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম বলেন, এক কোটি ইয়াবা লুটকারি মিজান এখনো পুলিশের হাতে আসেনি। যখন কক্সবাজার জেলা পুলিশের হাতে আসে; তখন নিশ্চিত হওয়া যাবে এই মিজান সেই মিজান কিনা।
আপনারা যেমন শুনছেন আমিও তেমন শুনতেছি। তবে বিষয়টি জেনেই বিস্তারিত জানাবেন বলেই জানান পুলিশ সুপার।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-