কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের ২৭ কি.মি জন ও যান চলাচল অযোগ্য

রফিকুল ইসলাম :
জাতীয় মহাসড়কের অংশ কক্সবাজার -উখিয়া ও টেকনাফ সড়ক। সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় এটি এখন মহাদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে উখিয়া অংশে ২৭ কিলোমিটার সড়ক চরম জনদূর্ভোগের কারণ হয়ে পড়ছে।

একটু বৃষ্টিতে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উন্নয়নাধীন উখিয়া অংশে কাদা, অসংখ্য ভাঙ্গা চুরা গর্ত জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। এ অবস্থা চলে আসছে গত প্রায় এক বছর ধরে।

এডিবির অর্থায়নে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে কক্সবাজারের লিংক রোড থেকে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার ও সেখান থেকে টেকনাফের উনছিপ্রাং পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার পুণঃনির্মান, সংস্কার ও স¤প্রসারণের কাজ শুরু হয়।
উন্নয়ন কাজের বাহনায় প্রায় পুরো সড়ক ঠিকাদার খুলে ওলট পালট করে রাখে। এতে সড়কের ভাল অংশ গুলোও নষ্ট হয়ে পড়ে।

সড়কের যত্রতত্র সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমে পথচারীসহ হাল্কা যানবাহন যাত্রীদের বেশী হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। সড়কের কোথাও কোথাও গর্তে হাল্কা যানবাহন টমটম, সিএনজি, রিক্সা উল্টে যাত্রী সাধারণকে জনসম্মুখে অপদস্থ হতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত ব্রিজ থেকে শুরু করে মরিচ্যা লাল ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দক, বড় বড় গর্ত ও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্হা না থাকায় কাঁদা মাটি ও জমে থাকা পানিতে পথচারী ও যান চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বাস স্টেশন ও বাজার এলাকা, উখিয়া সদর, পালংখালী, থাইংখালী, বালুখালী, কুতুপালং, কোটবাজার, মরিচ্যা বাজার সহ গুরুত্বপূর্ণ স্হান চরম জন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

চলতি মাসের শুরু থেকে করোনা লকডাউন শিথিল হওয়ায় স্হানীয় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও এনজিওদের মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ প্রায় চার মাস ধরে লকডাউন চলাকালে যানবাহন ও জন চলাচল কম থাকার সুযোগে সওজ ও ঠিকাদার যথাযথ কাজ করলে এ জনদুর্ভোগ অনেকটা কমে আসত বলে ভুক্তভোগীদের অভিমত।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কটি সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে সড়কের কিছু অংশে পানি জমে খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রæত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন বলে তিনি জানান।

আরও খবর