ডেস্ক রিপোর্ট ◑
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বালিয়াড়িতে পড়ে আছে হরেক রকমের শত শত বিদেশি মদের খালি বোতল। সমুদ্রে ভেসে আসা বোতলগুলো স্থানীয়দের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দরিয়ানগর থেকে প্যারাসেলিং পয়েন্ট পর্যন্ত সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘ তিন কিলোমিটার সৈকতের বালিয়াড়িতে পড়ে রয়েছে নানা প্রকার বিদেশি মদের খালি বোতল।
সৈকতের দরিয়ানগর এলাকা স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদ বলেন, ‘সৈকতের বালিয়াড়িতে শত শত বিদেশি মদের বোতলসহ প্লাস্টিকের বিভিন্ন বোতল জমা হয়েছে। গত চারদিন আগেও এই সৈকতে কোনো বোতল ছিল না। হঠাৎ করে এতো মদের বোতল ভেসে আসার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।’
সৈকতে ভেসে আসা মৃত কচ্ছপ পুঁতে ফেলার দায়িত্ব থাকা পরিবেশবাদি সংগঠন সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আছাদুজ্জামান সায়েম বলেন, ‘প্লাস্টিক বর্জ্য, ছেঁড়া জাল, রশিসহ হরেক রকমের বিদেশি মদের খালি বোতল সৈকতের বালিয়াড়িতে পড়ে রয়েছে। বেশিভাগই মদের বোতলের গায়ে মোড়কে লেখা আছে মিয়ানমার, আমেরিকা, স্কটল্যান্ড ও রাশিয়া।’
কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া বলেন, ‘সৈকতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ মদের খালি বোতল দেখা গেছে। যা দেখে মনে হয়েছে অধিকাংশই মিয়ানমারের। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এসব মদের বোতল গভীর সাগরে চলাচল করা জাহাজ থেকে ফেলা হয়েছে; যা এখন ভেসে কক্সবাজার উপকূলে চলে এসেছে।’
এদিকে সৈকতে ভেসে আসা বর্জ্যের কারণ উদঘাটনের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার বলেন, ‘সৈকতে ভেসে আসা বর্জ্যের সাথে হরেক রকমের বিদেশি মদের খালি বোতলও ভেসে এসেছে। এটিও তদন্তের একটি বিষয়। আপাতত আমরা সব বিষয় বিবেচনা করে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বিদেশি মদের খালি বোতল থেকেও অনেক তথ্য বের হয়ে আসতে পারে।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-