কক্সবাজারে শ্রমিক লীগের সভাপতির ভাই ইয়াবাসহ আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক ◑

জাতীয় শ্রমিকলীগ কক্সবাজার সদর উপজেলা শাখার সভাপতি ও ঝিলংজা ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ’র সহোদর ভাই ফোরকান আহমদ (৩৬) নামের চায়ের দোকানদারকে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ আটক করেছে পুলিশ।

আটক ফোরকান ঝিলংজা ইউনিয়েনের ২ নং ওয়ার্ডের উত্তর হাজীপাড়া এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে। সোমবার (১৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা গেইট এলাকায় ফোরকার আহমদের চায়ের দোকানে সদর থানার এসআই কাঞ্চনসহ সাদা পোষাকে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা খাদ্য গুদামের সামনে একটি চায়ের দোকানের আড়ালে আব্দুল্লাহ ও তার সহোদর ভাই ফোরকান দীর্ঘদিনধরে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে। এবং পরিবারের আরও অনেকে ইয়াবা ব্যবসা করে বিপুল টাকার মালিক বনে গেছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা মুখ খুলতে সাহস পায়নি এতদিন।

এছাড়া আব্দুল্লাহ শ্রমিকলীগের সভাপতি ও কমিউনিটি পুলিশিং এর পদবী ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে। তার ভাই হওয়ায় ফোরকান এলাকায় কায়েম করেছে সন্ত্রাস ও মাদকের রাম রাজত্ব।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) মো. মাসুম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে। কোন মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধী চক্রকে নিশ্চিহ্ন করা হবে। এ জন্য ব্যাপক গণসচেতনতার পাশাপাশি এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, খাদ্য গুদামের পরিত্যক্ত ভবন, উপজেলা কম্পাউন্ডের ভিতরের পরিত্যক্ত ভবন, পানবাজার কেন্দ্রিক শক্তিশালী একটি মাদক সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। যেই সিন্ডিকেটের সঙ্গে হাত রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ও অভিজাত পরিবারের কয়েকজনের।

এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে, ইমরান, ফয়সাল, রবি, হারুন, বাবু, আব্বাস, বান্ডাইয়া নামের কয়েকজন সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য। যাদের প্রত্যেকের নামে ৩ থেকে ৭টি পর্যন্ত মামলা রয়েছে। এসব অপরাধীদের চায়ের দোকানের আড়ালে ব্যবহার করে ফোরকান। তার মূল আশ্রয়দাতা ছোট ভাই আবদুল্লাহ। এই উঠতি সিন্ডিকেটটি ভেঙ্গে দিতে না পারলে হাজীপাড়াসহ আশপাশে ইয়াবার বিস্তার ঘটবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

আরও খবর