সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটছে আফ্রিকার দেশ মালির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত শহর ফানা এলাকায়। গেল ১০ জুন সকালে ঠিক ওই জায়গাতেই তার ভাই বাকারির ছিন্ন মাথা পড়েছিল। পাশেই ছিল দেহ। কিন্তু কেন বা কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে কোনো হদিস হয়নি।
একই রকম হত্যাকাণ্ড মাঝে মাঝে ঘটছে সেখানে। ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বহু মানুষকে এই একই উপায়ে হত্যা করা হয়েছে। সবশেষ হত্যা করা হয় দেশটির সাবেক সেনাসদস্য ৪০ বছর বয়সী বাকারিকে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এ তথ্য প্রকাশ করে বলা হয়েছে, আফ্রিকার এই শহরে কে বা কারা এভাবে মানুষ হত্যা করছে তা এখনো জানা যায়নি। সবশেষ ১০ জুন বাকরিকে হত্যার ঘটনার ৪০ মিনিটের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। তারা গিয়ে বাকারি ও তার ভাইয়ের খণ্ডবিখণ্ড লাশ পায়।
পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তেমন কোনো অস্ত্র পায়নি। শ্রেফ একটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়। তবে বাড়ির পিছনে কয়েক ফোঁটা রক্ত দেখা যায়। পুলিশের ধারণা, বাড়ির পিছনে তাদের হত্যা করে রক্ত নেয়া হয়। সেখানে মোটরসাইকেলে চাকার দাগও ছিল।
পুলিশ ধারণা করছে, হত্যাকারীরা মোটরসাইকেলে চড়ে সেখানে এসেছিল। দু’জনকে হত্যার পর রক্ত নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। ওই এলাকার প্রায় সব ঘটনা একই কায়দায় ঘটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এ পর্যন্ত যেসব মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, লাশগুলো সাধারণত সকালের দিকেই পওয়া যায়। লাশের পাশে রক্ত পাওয়া যায় না। ধারাল ছুরি বা কুড়াল দিয়ে মাথা গলা কেটে ফেলা হয়। গলা থেকে বের হওয়া রক্ত কোনো পাত্রে ধারণ করা হয়।
স্থানীয় গোত্রপ্রধান আদামা ত্রোর এপিকে বলেন, ‘একমাত্র স্রষ্টাই জানেন। আমরা জানি না, কারা খুনগুলো করছে।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-