বন্যহাতির আক্রমণে প্রাণ গেল রোহিঙ্গা নারীর

টেকনাফ প্রতিনিধি ◑ কক্সবাজারের টেকনাফে ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে বন্যহাতির আক্রমণে রাশিদা বেগম (৩০) নামে এক রোহিঙ্গা নারীর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ সদস্যরা।

রাশিদা বেগম নারী টেকনাফের নতুন লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রয়াত মমতাজের মেয়ে।

এই নিয়ে গত তিন বছরে হাতির আক্রমণে ১৪ জন রোহিঙ্গাসহ ২২ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে কক্সবাজারের ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে বন্যহাতির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।’

টেকনাফ নতুন লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘পাহাড়ে বাগানে কাজ করতে যাওয়া তার ক্যাম্পের এক নারী বন্যহাতির আক্রমণে মারা গেছেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় একদল বন্য হাতি প্রবেশ করলে লোকজন দিজ্ঞিবিদিক পালাতে থাকে। এ সময় বন্যহাতির আক্রমণে ঘটনাস্থলে মারা যান রাশিদা।’

টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প আর্মড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. রকিবুল ইসলাম জানান, ‘ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা মনে হচ্ছে বন্যহাতির আক্রমণে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি সেখানে বাগানে কাজ করতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।’

বনবিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ বলেন, ‘২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সহিংসতার পর উখিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা। পাহাড়ি এলাকার গাছপালা কেটে তারা গড়ে তুলেছে অসংখ্য ঝুপড়ি ঘর। এতে বাসস্থান ও খাবার সংকটে পড়ায় হাতির দল রাতে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে প্রাণহানির সংখ্যাও বাড়ছে।’

আরও খবর