সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ◑
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ করতে সারা দেশে ছুটি আর লকডাউন প্রয়োগ করায় বেশি বিপদে পড়েছে সমাজের নিন্ম আয়ের মানুষ। কাজের জন্য বাইরে যেতে না পারায় অনেক শ্রমজীবী মানুষই উপার্জনহীন হয়ে কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এসব দরিদ্র ও মেহনতি মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ।
ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ, ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-রাজাপালং এর আওতায় “কোভিড-১৯” ইমারজেন্সি রেসপন্স এর মাধ্যমে রাজাপালং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ৩০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা এবং ১২০০ পরিবারের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে গত ২৪, ২৫ এবং ২৬ই জুন তারিখে বিতরণ করা হয়।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিকারুজ্জামান এবং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী পৃথক পৃথক ভাবে খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অফিসিয়ালি উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহজাহান এবং কামরুন্নেসার উপস্থিতিতে অতি দরিদ্র, অসহায়, বিধবা এবং প্রতিবন্ধীদের মাঝে খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারদের সাথে পরামর্শ করে উপকারভোগীদের বাড়ীর কাছাকাছি দেয়ার ব্যবস্থা করা হয় যাতে সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করা যায়।
বিতরনের পূর্বেই ওয়ার্ল্ড কনসার্নের প্রত্যেক উপকারভোগীদের তালিকা প্রস্তুত করে উন্নয়ন কর্মীদের মাধ্যমে টোকেন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে নির্দিষ্ট উপকারভোগীদে কাছাকাছি জায়গায় প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রদানের মাধ্যমে নিরাপদ দূরত্ব এবং স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করা হয়।
খাদ্য সহায়তা প্রাপ্ত হরিণমারা গুনারপাড়া আত্মনির্ভরশীল দলের সদস্য শাহেদা বেগম বলেন, “লকডাউন এর কারণে আমরা কোন কাজ করতে পারছিলাম না, তাই লাকড়ি কাটতে পাহাড়ে গিয়ে পাহাড় থেকে পরে যায় এবং কোমরে ব্যথা পায়। ঠিকমতো হাটতেও পারছিনা গত ১০ দিন যাবৎ। এই অবস্থায় ঘরে কোনমতে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলাম। এই অবস্থায় যে সাহায্য পেয়েছি তা দিয়ে ১ মাস ভালমতো খেতে পারব। ওয়ার্ল্ড কনসার্নকে এর জন্য ধন্যবাদ জানাই”
খাদ্য সহায়তা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান সম্পর্কে ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহজাহান বলে “ওয়ার্ল্ড কনসার্ন আমার এলাকার জনগনের জন্য যে সমস্ত সহায়তা প্রদান করেছেন তা এই মহামারির সময় খুবই উপকারের হয়েছে।”
সহায়তার মধ্যে প্রতিজনের জন্য দেয়া হয় ৩০ কেজি চাল, ৫ কেজি সয়াবিন তেল,৫ কেজি আলু, ৩ কেজি পেয়াজ, ৩ কেজি ডাল , লবণ ১ কেজি, ৪টি মাস্ক এবং ২টি সাবান।
উল্লেখ্য যে, ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা যা দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে কাজ করে আসছে।
বর্তমানে কক্সবাজার জেলায় মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি অবস্থান করার ফলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন মানের উপর এর প্রভাব ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তাদের এই কষ্ট লাঘবের জন্য ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ বিশেষভাবে স্থানীয় দুঃস্থ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির সুরক্ষা সহ সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে “Integrated Development Program-Rajapalong(সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচীর রাজাপালং)” নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে গত অক্টোবর, ১৯ থেকে কাজ করে আসছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-