বিশেষ প্রতিবেদক ◑ কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ ও উখিয়া পাহাড়ে চার দফা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নিহত চারজন সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের সদস্যদের লাশ পরিবার নিয়ে যাননি। তাই লাশগুলো বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নিহত চারজনই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও ডাকাত আব্দুল হাকিম ওরফে হাকিম ডাকাতের আপন দুই ভাইসহ তার চারজন সহযোগী ছিলেন। হাকিম ডাকাতের বিরুদ্ধে আগে ২৯টি হত্যা, ডাকাতি, ধষন, অপহরণ, ইয়াবা, অস্ত্র, আনসার ক্যাম্পের অস্ত্র লুটসহ বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পড়ে রয়েছে। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন।
গত শুক্রবার ভোররাত তিনটা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমাপাড়া ও উখিয়া উপজেলার মনখালি পাহাড়ে রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুল হামিদ ওরফে হামিদ ডাকাত তার দলবল নিয়ে অবস্থান করছে ,এমন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ-উখিয়া থানা পুলিশের একাধিক দল পাহাড়ে অভিযান চালায়।
অভিযানে অল্পের জন্য হাকিম ডাকাত পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তার ভাই বশির আহমদ, হামিদ হোসেন, মোহাম্মদ রফিক ও রইঙ্গা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চারটি এলজি, ২০ রাউন্ড গুলি ও ৪০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় উখিয়া থানায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা, অস্ত্র , ইয়াবা ও সরকারি কাজে বাধা অভিযোগের চারটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার পর থেকে শনিবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত নিহত চারজনের লাশের দাবীর পাশাপাশি অভিভাবক হিসেবে কেহ দাবী করেননি এবং কোনো আত্মীয়-স্বজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিহত চারজনের লাশ নিতে কেউ আসেনি।
তাই বেওয়ারিশ হিসেবে চিহ্নিত করে আঞ্জুমান মফিদুলকে দিয়ে লাশগুলো ২৮জুন রবিবার দাফনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-