ডেস্ক রিপোর্ট ◑ শুক্রবার (২৬ জুন) সকাল। উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের গহীন পাহাড়ী এলাকায় সশস্ত্র ডাকাতদলের সদস্যরা অবস্থান করছে এমন খবর আসে পুলিশের কাছে।
খবর পেয়ে পুলিশের দুটি দল টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমা পাড়া এবং উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনতলীর গহীন পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালায়।
দিনভর চলে অভিযান। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ওই এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ। সেখানেই অবস্থান নিয়েছিল সসস্ত্র ডাকাতদল।
পুলিশকে লক্ষ্য করে আচমকা গুলি ছুঁড়তে শুরু করে ডাকাতদলের সদস্যরা। পুলিশ দ্রুত কাভার নিয়ে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। থেমে থেমে গোলাগুলি চলে। এক পর্যায়ে গোলাগুলি থেমে যায়। ডাকাত দলের সদস্যদের কাছ থেকে অনেক্ষণ সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজ শুরু করে পুলিশ সদস্যরা। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে চার জনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পাওয়া যায়। একইসাথে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৪০ হাজার ইয়াবা, চারটি দেশিয় তৈরি বন্দুক ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে জানা যায়, নিহতরা সবাই রোহিঙ্গা ডাকাত দলের সদস্য। এদের মধ্যে দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের দুই ভাইসহ তার দলের সহযোগীরা রয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমা পাড়া এবং উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনতলীর গহীন পাহাড়ী এলাকায় পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালালে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় নিহতরা হলেন- দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের ভাই বশির আহমদ ও হামিদ হোসেন এবং তার ডাকাতদলের সদস্য মোহাম্মদ রফিক ও মোহাম্মদ রাঙ্গাইয়া।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে দুজন দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের ভাই এবং অন্য দুজন তার ডাকাতদলের সহযোগী। বিকালে নিহতদের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উখিয়া থানায় নেওয়া হয়েছে।’
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ইকবাল হোসাইন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-