গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑
টেকনাফে গহীন পাহাড়ে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের দুই ভাইসহ ৪ ডাকাত নিহত।
উক্ত ঘটনায় কক্সবাজার জেলা পুলিশের সিনিয়র দুই কর্মকর্তা,টেকনাফ থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র,গুলি, ইয়াবা উদ্ধার।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২৬জুন (শুক্রবার) ভোর রাতের দিকে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত হোয়াইক্যং ইউনিয়ন গহীন পাহাড়ে শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত হাকিম গ্রুপের অবস্থানের গোপন সংবাদ পেয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা পুলিশের ২/৩জন সিনিয়র কর্মকর্তার নেতৃত্বে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) প্রদীপ কুমারসহ পুলিশের একটি চৌকষ দল গহীন পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে।
একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা ডাকাত দলের আস্তানা ঘেরাও করলে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষন শুরু করলে জেলা পুলিশের সিনিয়র এক কর্মকর্তা,(ওসি) প্রদীপ কুমারসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৪ ডাকাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করে।
পুলিশের দাবী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া ৪ ডাকাতের মধ্যে দুই ডাকাত শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের আপন ভাই।
তারা হচ্ছে,হাকিম ডাকাতের ভাই ডাকাত বশির, হামিদ, রফিক, রইঙ্গা।
এদিকে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে দেশীয় তৈরী ৪টি এলজি, ২০ রাউন্ড গুলি ও ৪০হাজার ইয়াবা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিকাল ৪টার দিকে (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ কক্সবাজার জার্নালকে জানান দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে টেকনাফের বেশ কয়েকটি পাহাড়ের গহীন অরন্যে শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত হাকিম,জকিরসহ ডাকাত দলের বেশ কয়েকটি গ্রুপ মাদক পাচার,অপহরনসহ নানা অপকর্ম সংঘটিত করে আসছে। অস্ত্রধারী এই ডাকাত দলকে নির্মুল করার জন্য কক্সবাজার জেলা পুলিশের সদস্যরা কঠোর অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তিনি আরো বলেন পুলিশের অভিযানে এর আগেও বেশ কয়েকজন অস্ত্রধারী ডাকাতকে নির্মুল করা হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে ডাকাত আব্দুল হাকিমের দুই ভাইসহ ৪ ডাকাতকে নির্মুল করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-