দৃষ্টিভঙ্গি বদলালে সমাজ বদলে যাবে!

“Opponent” বলতে সাধারণ অর্থেই আমরা বুঝি এটা প্রতিপক্ষের সমার্থবোধক শব্দ প্রতিপক্ষ শব্দটার শুরু মূলত দ্বন্ধ থেকে সেটা হোক শারিরীক, মানসিক বা সামাজিক….

দু’টি লিঙ্গের সমন্বয়ে এই জগৎ সংসার
১.পুরুষ
২.নারী
জগৎ সংসার টা পরিপূর্ণ, পরিপক্ব হচ্ছে এই দুইয়ের মেলবন্ধনে নারী পুরুষ একে অপরের পরিপূরক মাত্র গঠন গাঠন চলন বলন সবই প্রায় এক।

তবে শারীরিক দিক দিয়ে পুরুষরা সুঠাম দেহের অধিকারী এই যা পার্থক্য তবে নারীরাও আজকাল পিছিয়ে নেই এসব শরীরচর্চায়।

তাই বলে শক্তি প্রয়োগ করে নারীকে পিষে দিতে হবে এমন তো কোথাও উল্লেখ নেই।

এই যে নারীকে Opponent ভাবার প্রবণতা এটা যতদিন নাহ মাথা থেকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ঝেরে ফেলতেছে ততদিন এই সমাজ অসভ্যই থেকে যাবে।

তবে কিছু ব্যতিক্রম ও আছে,অনেক নারী মনে করেন পুরুষরাই বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন, সেই ঝাতাকলে পিষে পিষে তার সামনে হাঁটুগেড়ে বসে সেবা শুশ্রূষা করে যেতেই হবে,এটাই আমাদের ধর্ম।

ভাই কেন,যে আপনাকে সুযোগ সম্মান দিচ্ছে নাহ তার পায়ে কী আসলে বসার যোগ্য।

“নারী হওয়ার চেয়ে কয়েকটা দিন আরো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকো”

নারী আপনার পরিপূরক, তাকে সম্মান দিন সুযোগ দিন। Opponent চিন্তা চেতনা বাদ দিন। শিক্ষা, চিকিৎসা, রাষ্ট্রপরিচালনা,কর্পোরেট, ফিল্ড, উদ্যোক্তা, আইন বিচার বিভাগ সব ক্ষেত্রেই নারীদের বিচরণ

কোভিড ক্রাইসিসেও দেখবেন নারীর সমান অংশগ্রহণ স্বয়ং আমাদের দেশের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিং দিচ্ছে স্বাস্হ্য অধিদপ্তরের নারী পরিচালকগণ।

আমার মা একটি সরকারী অফিসে কর্মরত
আম্মার হাত ধরে প্রতি তিনমাস অন্তর ৩০জন স্বাবলম্বী নারী তৈরী হয়েছে,হচ্ছে।

তাহলে নারীকে প্রতিপক্ষ বা ছোট করে দেখার কোন সুযোগই আমি দেখছিনা। আমি নিজেও কিশোর-কিশোরীদের মেন্টাল আর সেক্সুয়াল ইস্যু নিয়ে কাজ করতেছি

ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, এ মানসিক পরিবর্তন না হলে এ সমাজের সিস্টেম কখনোই বদলাবে না।
আমাদের হেয় না করে সাহস দিন ভুলে যাবেন না আমরা এই সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্হা কায়েম করতে গিয়ে প্রকৃতির নিয়মের বাইরে হাজার চেষ্টায়ও যেতে পারবেনা না আগেই বলেছি পুরুষ নারীর মেলবন্ধনে একটি সভ্য জাতি ও সভ্য সমাজ গড়ে উঠে।

মনে রাখবেন মায়ের আঁচল আর বাবার কাধ দুটোই সমানভাবে দরকার একে অপরের প্রতি একটু সেক্রিফাইস আর একটু কম্প্রোমাইজ।

বেশ দারুণ ভাবে জমে যাবে আমাদের বেঁচে থাকাটা।

#ভালো থাকুন
#ভালো রাখুন

লেখক ✍
জান্নাতুল নাঈম তোফা 
অনার্স ২য় বর্ষ (ইতিহাস বিভাগ)
কক্সবাজার সরকারি কলেজ

আরও খবর