উখিয়া ও টেকনাফে করোনা পরীক্ষায় বসছে আরও দুটি পিসিআর মেশিন

ডেস্ক রিপোর্ট ◑ ১১ লাখ রোহিঙ্গা সহ প্রায় ৩৫ লাখ জনসংখ্যার কক্সবাজার জেলায় প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ।

১৭ জুন পর্যন্ত জেলায় করোনাক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৮শ।আর মারা গেছে ২ রোহিঙ্গা সহ ৩০ জন।

এ সকল পরিসংখ্যানে দেশের সর্বাধিক করোনাক্রান্ত জেলার মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে কক্সবাজার। আর রোগ শনাক্ত করতে কক্সবাজারে চালু রয়েছে দুটি পিসিআর মেসিন।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে প্রতিদিন ৫ শতাধিক নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। তবে রোগের লক্ষণ থাকলেও অনেকেই নমুনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে দীর্ঘসূত্রতার কবলে পড়ছেন বলে অভিযোগ আসছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ লাইন।

আর এসব ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর জন্য কক্সবাজারের তিন উপজেলায় আরও তিনটি পিসিআর মেসিন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। কক্সবাজার শহরের বাইরে উখিয়া,টেকনাফ এবং চকরিয়ায় তিনটি পৃথক পিসিআর মেসিন বসতে যাচ্ছে। এ জন্য একটি প্রস্তবনা ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়,করোনাভাইরাস শনাক্তে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে রয়েছে দুইটি পিসিআর মেসিন। এই দুই ল্যাবে দৈনিক গড়ে ৫শ’র মতো নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে।এর আওতায় কক্সবাজারের ৮ উপজেলা ও ১১ লাখ রোহিঙ্গা ছাড়াও বান্দরবান জেলা এবং চট্রগ্রামের লোহাগাড়া-সাতকানিয়াও রয়েছে।

এমতাবস্থায় এ বিশাল জনগোস্টির চাপ কমাতে উখিয়া ও টেকনাফের প্রায় ৬ লাখ স্থানীয় এবং ১১ লাখ রোহিঙ্গার বেশি সংখ্যক নমুনা পরীক্ষার জন্য আরও দুটি পিসিআর মেসিন বসতে যাচ্ছে।

এছাড়া চকরিয়া,মহেশখালী,কুতুবদিয়া,পেকুয়া সহ বান্দরবান জেলা এবং লোহাগাড়া-সাতকানিয়া মিলে মালুমঘাট হাসপাতালে বসতে যাচ্ছে পিসিআর মেশিন।

এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক ডাক্তার জানান,কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের দুই উপজেলার জন্য আলাদা দুটি পিসিআর মেসিন বসানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে। আশা করছি জুলাই মাসের মধ্যে এগুলো চালু করা সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত,গত ১ এপ্রিল মাত্র একটি পিসিআর মেশিন দিয়ে নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ।

পরবর্তীতে মে মাসে সেখানে আরও একটি পিসিআর মেশিন যোগ হয়। বর্তমানে সেখানে তিন শিফটে ১৫ জন চিকিৎসক ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করে থাকেন। প্রতি শিফটে একটি পিসিআর মেশিনে ৯৬ টি করে দুইটিতে ৫৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এরবইরেও আরও কিছু নমুনা পরীক্ষা করতে হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

আরও খবর