অনলাইন ডেস্ক ◑ দেশে নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরুর পর ২৩ মার্চ ছুটিতে গিয়েছিলেন বান্দরবান জেলা আদালতে কর্মরত এসআই আতিকুল ইসলাম।
সোমবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোড থেকে তাকেসহ দুজনকে ইয়াবা পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মোহাম্মদপুর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. রওশানুল হক সৈকত জানান, পিকআপে করে ইয়াবা পাচার করা হচ্ছে তথ্য পেয়ে গাড়ির সিট ও দুজনের দেহ তল্লাশি করে ১১ হাজার ৬০০ ইয়াবা উদ্ধার হয়। তাদের কাছে নগদ পাঁচ লাখ ২৫ হাজার টাকাও আছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর জানা যায় আতিকুল (৪৬) পুলিশের একজন এসআই। তিনি বান্দরবান জেলার কোর্টে কর্মরত, অপরজন রেজাউর রব (৪২) তার সহকারী। তারা দুজন মিলে এই এলাকায় ইয়াবা সরবরাহ করছে।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলীম বলেন, “এই চক্রটি আগেও ইয়াবা নিয়ে এসেছে। দীর্ঘদিন পুলিশ তাদেরকে ধরার জন্য ওঁৎ পেতে ছিল। আজ তাদেরকে ধরতে সক্ষম হই।”
তিনি জানান, এসআই অপুর্ব কুমার বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করেছেন। মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
আতিকুল দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত জানিয়ে বান্দরবার জেলার পুলিশ সুপার জরিনা আক্তার বলেন, “২৩ মার্চ আতিকুল ক্যাজুয়েল লিভে (সিএল) যায়। তারপর থেকে সে ‘ওভার স্টে’ করছে। আমার কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে আতিকুল কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
“অপেক্ষায় ছিলাম, অনুপস্থিতি শেষে কাজে আসার পর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেব, বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব। এখন মামলায় এমনিতেই সাময়িক বরখাস্ত হয়ে যায়। এছাড়া তার বিরুদ্ধ বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।”
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, আতিকুলের বাড়ি পঞ্চগড়ের তেুঁতুলিয়ায়। স্ত্রী থাকলেও দীর্ঘদিন তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। আর রবের বাড়ি ঢাকায়।
“তার দীর্ঘদিন এ কাজের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইয়াবাগুলো কক্সবাজার থেকে আনা হয়েছিল।”
আতিকুলের একজন ব্যাচম্যাট নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের ব্যাচ ২০০০ সালে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০০১ সালে ভর্তি হয়েছে। ব্যাচের সবাই পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পেলেও আতিকুল পায়নি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-