বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইউপি সদস্য ও আ. লীগ নেতা নিহত

বান্দরবান ◑ বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে কুহালং ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা চাইনছাহ্লা মারমা (৩৬) নিহত হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ইউনিয়নের বাকিছড়া এলাকার মাঝের পাড়ায় সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে। গুরুতর আহত ৫ নং ওয়ার্ডের এই ইউপি সদস্যকে প্রথমে বান্দরবান সদর হাসপাতাল পরে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পথে সেখানে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ওই এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ গেছে।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইউপি সদস্য চাইন ছাহ্লাকে বাকি ছড়া লামার পাড়ার বাসিন্দা মংউসে মারমা বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পড়ে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করলে ইউপি সদস্য গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে প্রথমে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পথেই মারি যায়। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এই ঘটনায় বান্দরবানের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসীদের দ্রুত আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন দীর্ঘদিন থেকে আধিপত্যের লড়াইয়ে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির সাথে আওয়ামী লীগের বিরোধ চলে আসছে।

অন্যদিকে মগ ন্যাশনাল পার্টির আধিপত্য ও জনসংহতি সমিতির সংস্কার গ্রুপের আবির্ভাব নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। ইউপি সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা এর রেশ হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

উল্লেখ্য শনিবার রাতে বাঘমারা এলাকায় জনসংহতি সমিতির সংস্কার গ্রুপের সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যার বাসা লক্ষ্য করে কে বা কারা গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে।

আরও খবর