বাইক নিয়ে স্ট্যান্টবাজি,ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালালেন ধনীর দুলালরা


চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ জটিল অবস্থার মধ্যেও পতেঙ্গা-হালিশহর মেরিন ড্রাইভ সড়কে থেমে নেই মোটরবাইক স্ট্যান্টবাজি । আজ শুক্রবার (১২ জুন ) বিকাল ৫ টার দিকে প্রচুর মানুষের সমাগমের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট দেখে বিপদজনকভাবে পালালেন এসব ধনীর দুলালরা ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, অভিযানে যে সব গাড়ির ছবি তোলা হয়েছে, মানে মোটরবাইক নিয়ে ঘুরতে আসা, স্ট্যান্টবাজি করা এবং ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালানো ব্যক্তিদের গাড়ি ও বাইকের লাইসেন্স বাতিল/জব্দ করার জন্য বি.আর.টি.এ কে সুপারিশ প্রেরণ করা হবে।

বিলাসবহুল প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, সিএনিজি, মোটরবাইক নিয়ে সপরিবারে সমুদ্র বিলাসে এসেছিল কয়েকটি পরিবার। সমুদ্র সৈকত তীরে ক্রিকেট, ফুটবল-ও খেলছিল অসচেতন কিশোর-তরুণরা। এরকম অবস্থায়, প্রচুর লোক সমাগম থাকায় সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় মোবাইলে কোর্টে জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় পতেঙ্গা থানার টহল পুলিশের দায়িত্বে থাকা এস.আই সুমন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশদের কে নিরাপদে লোক সমাগম দূর করতে নির্দেশ দেন। প্রায় ৩০ মিনিটের মধ্যে লোক সমাগম পতেঙ্গা সৈকত এলাকা এবং মেরিন ড্রাইভ সড়ক থেকে সড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

এছাড়া, অভিযানের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম পতেঙ্গা সৈকতের পুলিশ চেকপোস্টে পৌঁছালে কর্তব্যরত পুলিশরা জানান যে তাদের সাথে মার্সিডিজ বেঞ্জ নিয়ে ঘুরতে আসা একটি পরিবারের লোকজনকে সমুদ্র সৈকত এলাকা ত্যাগ করতে বললে পুলিশের কনস্টেবলের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বিষয়টি অবগত হয়ে পতেঙ্গা থানার টহল টিমের অফিসার এস.আই সুমন কে মার্সিডিজ বেঞ্জের গাড়ি ও মালিককে অনুসন্ধান করে সংশ্লিষ্ট আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। পূর্বকোণ

আরও খবর