ফুঁসে উঠছে জনগণ

কোটবাজার-ভালুকিয়া সড়কের উন্নয়ন কাজ ৩ মাসেও শুরু করেনি ঠিকাদার!

ফারুক আহমদ, উখিয়া ◑

উখিয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ কোটবাজার ভালুকিয়া সড়কের কার্পেটিং কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে কার্যাদেশ দেওয়ার পরও ৩ মাসেও কাজ শুরু হয়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের চরম খামখেয়ালী ও ব্যর্থতার কারণে বর্ষার মৌসুমে সড়কটিতে যানবাহন ও পথচারীদের যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এতে সাধারণ জনগন ক্ষুব্ধ হয়ে দিন দিন ফুঁসে উঠছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম জানান, চলতি মাসেই সড়কের কাজ শুরু করা প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এজন্য জন্য ঠিকাদারকে নির্মাণ কাজের মালামাল ও উপকরণ মজুদ রাখতে বলা হয়েছে।

এদিকে, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খায়রুল আলম চৌধুরী দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের নিকট দাবি জানিয়েছেন। এ সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হবে এমন আশ্বাসের বাণী শুনতে শুনতে ধৈর্যের অপেক্ষা সহ্যের বাইরে চলে গেছে ।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে কোটবাজার ভালুকিয়া সড়কের প্রথম অংশ কার্পেটিং কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয় গত তিন মাস পূর্বেই। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে কাজ শুরু করার জন্য কার্যাদেশ প্রদান করা হয়।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী আল আমিন জানান, বিশ্ব ব্যংকের অর্থায়নে এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। আর এটি বাস্তবায়ন করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে কোটবাজার ভালুকিয়া সড়কের কোট বাজার অংশ আরসিসি পদ্ধতিতে কার্পেটিং এবং ভালুকিয়া পালং ইউসুফ আলী সড়কের কিছু অংশ কার্পেটিং করা হবে।

স্থানীয় নাগরিক সমাজের অভিযোগ, জনগুরুত্বপূর্ণ কোট বাজার ভালুকিয়া সড়কে খানাখন্দ ও কাদা মাটিতে জলাবদ্ধতায় বেহাল অবস্থা পরিণত হয়েছে। বর্ষার মৌসুমে হাটু পরিমাণ নোংরা ময়লা আর্বজনা পানি ও বড় বড় গর্ত সৃষ্টির কারণে যানবাহন যাতায়াত দূরের কথা বাজারগামী লোকজনের চলাচল করতে নাভিশ্বাস হয়ে উঠে।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েক বছর ধরে সড়কটি করণ অবস্থা দেখা দিলেও স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) দায়িত্বহীনতার কারণে আজ দূরাবস্থা।

চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, কোটবাজারের ভালুকিয়া সড়কের প্রথম অংশটি এতই খারাপ অবস্থা হয়েছে তা বলার মত নই। যানবাহন যাতায়াত মারাত্বক ঝুঁকি হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও জানান, সড়কটি দ্রুত উন্নয়ন করার জন্য একাধিক বার উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করেছি। এমনকি ব্যক্তিগত ভাবে এলজিইডির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকৌশলীর নিকট একের পর এক দেন দরবার করে আসছি। সরকারিভাবে অর্ডার দেয়ার পরও ঠিকাদার যথাসময়ে কাজটি শুরু না করে গাফিলতি করাটি খুবই দুঃখ জনক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে , গত বছরও সড়কটির উন্নয়নের জন্য টেন্ডার আহ্বান করছিল। কিন্তু কোন ঠিকাদার অংশ গ্রহণ না করায় তা বাতিল হয়ে যায়।

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম জানান, গত ৩ মাস পূর্বে ২য় বারের মত টেন্ডার আহবান করে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন চলতি জুন মাসেই কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।

স্থানীয় নাগরিক সমাজের মতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারের খামখেয়ালিপনায় কারণে সড়কটি আজ উন্নয়নের আলোর মুখ দেখতেছে না।

ব্যবসায়ী মহল ও জনগনের প্রশ্ন টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে কেন ঠিকাদার কাজ শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে এর দায়ভার কে নেবেন।

আরও খবর