কক্সবাজারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন ৯৫ জন যেসব এলাকার

বিশেষ প্রতিবেদক ◑

গত ৬জুন দেশের প্রথম করোনার ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয় কক্সবাজার জেলাকে। সেই ‘রেড জোন’র ঘোষণার ষোলকলা পূর্ণ করতেই যেন উঠেপড়ে লেগেছে করোনা।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা যায়,গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৭ জন এনজিও কর্মী সহ ৯৫ জন। এনিয়ে জেলায় করোনাক্রান্তের সংখ্যা দাড়াল ১১৮৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৭৪ জন। আর মঙ্গলবার শনাক্ত হওয়া নতুন এই ৯৫ জনকে নিয়ে কক্সবাজার জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২শ ছুঁই ছুঁই প্রাণঘাতি এ ভাইরাসটি।

আক্রান্তদের মধ্যে সদরের সর্বাধিক ৩৪ জন, রামুর-১, উখিয়ার-৬ জন, চকরিয়ার-২২ জন, পেকুয়ার ১০ জন,মহেশখালীর ৩ জন, টেকনাফের-২জন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৭ জন। এছাড়া জেলার বাইরে বান্দরবানের ১০ জন এবং সাতকানিয়ার-১২ জন নতুন পজিটিভ অছেন। বাকি ৩টি(সদর-১, রোহিঙ্গা-২) ফলোআপ রয়েছে।এছাড়া ৩৫৭টি নমুনা নেগেটিভ আসে। আক্রান্তরা হলো–

কক্সবাজার সদর ও পৌরসভার(৩৪ জন)- আখিঁ (২৫), ৬নং রোডের সুরেশ (২৯),বার্মিজ মার্কেটের রিপন বড়ুয়া(২৩),উপজেলা সড়কের গিয়াস উদ্দিন (৫০), গোলদীঘি পাড়ের বিকাশ(৪৮), কালুর দোকানের দোয়ান (৪২),খুরুস্কুলের শ্যামল পাল(৩৮) ও তসলিমা আলম(২৪), টেকপাড়ার শাহাব উদ্দিন(৩৪),পুলিশ লাইনের মো: সাইফুদ্দিন (২৭),ছোটন দেব(৩০) ও মো: গোলাম সাদেক(৩০), আরআরআরসি অফিসের মো: এরশাদুল করিম(৩২) ও ডা: তোহা(৫০),ডা: মাহবুবুল আলম(৩৯),দীবাকর দত্ত(৪০), আইরিন(২৪), ফয়সাল (৪৬),ফারহানা(৪০),মিজানুর রহমান(৪০), রাশেদ আয়েশা(২৪), সিুকুমার রায়(৫৪), মো: আবু শামা(৫০), মো: পান মিঞা(৩৭), আমজাদ হোসেন (৩২), সোহেল রানা(২৮),মো: সোহাগ খান (২৭),মো: ইসমাইল হোনেইন(৩৬),ইকবাল (৫৪), আতাউর রহমান(৫৩), শাহাদাত(৬৩), মোহাম্মদ আলী(৬৫)।

চকরিয়া উপজেলার(২২ জন)- সবুজবাগের ফেরদৌস আহমেদ(৪৩) ও মঈন উদ্দিন(২৪), হাসপাতাল সড়কের মো: হোসেইন (৪২) ও আব্দুল্লাহ(৪০), শানবিলের মিছবাহ উদ্দিন(৩০),৯নং ওয়ার্ডের আব্দুল হাকিম (৪৪),পূর্ব পাড়ার মুজিবুর রহমান(২৪),সিকদার পাড়ার নুরুন্নাহার(৬০) ও নেজাম উদ্দিন(৪৬), তারাসঘাটার এনামুল হক (৪৯),ভাড়ামোহনির কৃষ্ঞ ঘোষ(২৩) ও নয়ন(২০), কইয়ার বিলের ফইজ উল্লাহ(২২), পাগলির বিলের শাহাব উদ্দিন(৫৬), ৭নং ওয়ার্ডের আলেয়া বেগম(৫০) শেখ সাদী(১৫) ও আব্দুল হামিদ (৪৩), চকরিয়ার স্ব্যায়ার ফার্মার মো: দেলোয়াড় হোসেন,পৌরসভার সাহাজুদ্দিন(৪২),পুকুরিয়া পাড়ার আব্দুর রহিম(৩০), বীনামারার মো: ফকর উদ্দিন(৫০) ও ফাইস্সাখালীর সাইফুল করিম(৩৬)।

পেকুয়া উপজেলার(১০ জন)- বারবাকিয়ার সরোয়ার উদ্দিন(৩৮) মো: নুরুল আজিম(৪৩) ও জামাল হোসেইন (৩৬), শীলখালীর মো: রাশেদ (৩০), পেকুয়া সদরের ইসমত জাকিয়া(৩২),জেমি আকতার(২১),শরিফুল ইসলাম(২৫),মিঞা বশির (৪০), নুর মোহাম্মদ(৩৬),ওসমান গণি(৪০),

টেকনাফ উপজেলার(২ জন)- মোকতার(২৫),ডা: দেবাশীষ দত্ত(৩৯),উরনয়ন কান্তি দাশ(২৭), আবদুল্লাহ আল মামুন(২৬)।

উখিয়া উপজেলার(৬ জন ও ১৭ জন এনজিও কর্মী)- পালংখালীর মফিজুল আলম(৩৫), গাজী (২৫), নাজমুল হক(২৭), মরিয়ম নাহার(২৫), রুমী বড়ুয়া(২৪), খাদিজা খাতুন (২৪), ফাতেমা খাতুন (২৬), মো: রিয়াজ উল্লাহ(২৮),মো: ফজলি আলম(৩৮), জিয়াউল হক(২২),শহীদুল হক(৩৭), সৈকত বড়ুয়া(২২), আব্দুল আজিজ(২৬),মো: লিটন(২২),আব্দুল আলিম(২৭),মো: আফসার (২৩),জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস(২৫),নুরুল আলম (৪৮),ডা: ফাতেমা সুমাইয়া(২৭),আব্দুল মান্নান (২৮),নাছির উদ্দিন(৪০),তপন দে(৩২)।

রামু উপজেলার(১ জন)- মো: জয়নাল আবেদীন(৩৭)।

মহেশখালী উপজেলার(৩ জন)- সাদিয়া(২৩), বাপ্পি(২৬), সুভাস বড়ুয়া(৩৮)।

কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ৯জুন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনার হটস্পট সদর উপজেলায় আক্রান্ত এবং মৃত্যূ সবচেয়ে বেশি।

এখানে মোট আক্রান্ত‘র সংখ্যা ৪৫০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪০ জন। এছাড়াও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চকরিয়া উপজেলায় ২১৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১২০জন। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উখিয়া।এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৬৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৯জন।

এর পরে রয়েছে রামুতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬জন। পেকুয়ায় পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩৭জন।

মহেশখালীতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৯ জন,টেকনাফে পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৫৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮জন এবং কুতুবদিয়ায় পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ জন।

আরও খবর