সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল ◑
প্রথম দিকেই করোনা ভাইরাসে শনাক্তের খবর পাওয়া মাত্রই প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানান তৎপরতা দেখা যেতাে কিন্তু এখন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেও কোন ধরণের উদ্যোগ নিচ্ছেন না প্রশাসন দাবি সচেতন মহলের।
জানা যায়, গত ২৬ মে (মঙ্গলবার) কক্সবাজার শহরের পেশকার পাড়ার বাসিন্দা আবুল হাশেম (৫৫) করোনার উপসর্গ নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যায়।
মরহুম আবুল হাশেম যে ভবনে থাকতেন ওই ভবনটি ৫মতলা বিশিষ্ট। কিন্তু এখনো ওই ভবনে লকডাউনের কোন আওতায় আসছে না। দেখা মিলছে না। ফলে আতঙ্কে মধ্যে রয়েছে পুরো ভবনে বসবাস করা মানুষ।
চলমান অবস্থায় প্রশাসনের এই ব্যাপারে তেমন কোন নজরদারি নেই মনে করে ওই ভবনে থাকা ভাড়াটিয়া আইনজীবি মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি যে ভবনে বাসা ভাড়ায় থাকি ওই ভবনটি ৫মতলা বিশিষ্ট। অথচ দ্বিতীয় তলায় ভাড়াটিয়া আবুল হাশেম করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। প্রথম দিকেই দেখছি করোনা শনাক্ত হলেও শনাক্ত হওয়া বাড়িসহ আশপাশে বাড়িগুলো লকডাউন করে দিতো প্রশাসন। এখন কিছুই চোখে পড়ার মতো নয়।
তিনি আরও বলেন, ওই শনাক্ত হওয়া বিল্ডিংয়ে আরও ১৮ টি পরিবার বসবাস করে। তাদের সুরক্ষার বিষয়ে চিন্তা করে ভবনে লকডাউনের ব্যাপারে নির্বাহী অফিসার সদরকে ফোন করার পরেও অদ্যবধি কেউ কোন খবর নিল না।
এদিকে কক্সবাজারে সনাক্ত হওয়া রোগী নিয়ে প্রশাসনের তৎপরতা এখন আর আগের মত চোখে পড়েনা। বেশির ভাগ করোনা রোগির কোন খোঁজ খবরই নিচ্ছেনা প্রশাসন বা স্বাস্থ্য বিভাগ এমনটাই জানিয়েছে বেশির ভাগ করোনা রোগি এবং তাদের পরিবার।
২৬ মে শহরের বৈদ্যঘোনা জাদিরাম পাহাড়ে পাশে বসবাস করা মমতাজ উদ্দিনের ছেলে জাফর আলমের করোনা শনাক্ত হয়। তবে ২৭ মে রাত ১০ পর্যন্ত তার বাড়িটিও লকডাউন করেনি প্রশাসন এমনকি তাকে কেউ ফোন করেও জানায়নি তিনি করোনা পজিটিভ। অথচ সিভিল সার্জন অফিসের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে জাফর আলম পজিটিভ।
শহরের পাহাড়তলীর রুবেল জানান, তার শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে ৫ দিন আগে। প্রথম দিকে পুলিশ একবার গিয়ে তাদের বাড়ি লগডাউন করেছে। তবে তাদের ঘরে খাবার নেই বা কি ঔষধ খাবে তার কিছুই জানায়নি স্বাস্থ্য বিভাগ।
সূর্যের হাসি ক্লিনিকের কর্মচারী হাসিনা আক্তারের পরিবার জানান, তাদের ঘরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতাতো দূরের কথা। কি ঔষধ খাবে সেটাও কেউ বলেনি।
এদিকে উখিয়া সোনারপাড়ায় বাজারে পাশে থাকা করোনা রোগী জানান, তার বাড়িতে কেউ আসেনি কোন সহযোগিতাও করেনি।
এদিকে সচেতন মহলের দাবী দেশে করোনা পরিস্থিতির সাথে পাল্লা দিয়ে কক্সবাজার এখন করোনার হট স্পট হয়ে গেছে। তাই আরও কঠোরভাবে মনিটরিং করা না হলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে যেতে পারে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-