ঈদগাঁওতে একদিনে ডাক্তারসহ ৬ করোনা রোগী শনাক্ত

আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও ◑

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে বৃহস্পতিবার (২১ মে) শনাক্ত হওয়া সদরের ১২ জন রোগীর মধ্যে ৬ জনই ঈদগাঁও এলাকার বাসিন্দা। এই প্রথম বৃহত্তর ঈদগাঁওতে এক সাথে এত রোগী শনাক্ত হওয়ায় জনমনে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, করোনা পজিটিভ হওয়া রোগীরা হল ঈদগাঁও ইউনিয়নের জাগির পাড়ার আগের এক করোনা রোগীর স্ত্রী (১৯) ও তার দুই বছর বয়সী ছেলে, ঈদগাঁও বাজার ডায়াবেটিস সেন্টার এন্ড হাসপাতালের একজন পরিচালক ও চিকিৎসক (৪৪), একই ইউনিয়নের পাল পাড়ার ১৮ বছর বয়সী এক যুবক, ঈদগাঁও বাজার ফরাজি ফার্মেসীর একজন পরিচালক (৪১) ও পোকখালীর ১৯ বছর বয়সী আরেক যুবক।

ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ আক্রান্তদের বাড়ী সন্ধ্যার পরপরই লকলাউন করে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে একাধিক বিশ্বস্ত সুত্র জানান, ঈদগাঁও বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব হাফেজ মওলানা জহির দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হলেও অতি সম্প্রতি তার মধ্যে করোনার সব ধরণের উপসর্গ দেখা গেলেও তিনি কোন অবস্থাতেই পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক নন। এমনকি বিগত দুই একদিনের মধ্যে তার অসুস্থতা বেড়ে গেলে তিনি করোনা পজিটিভ হওয়া ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসাপত্র নেন বলে তার নিকটতম কয়েকজন ভক্ত জানান। এমনকি তিনি নিজ মুখে বেঁচে থাকার বিষয়েও তার ভক্তদের কাছে আশংকা প্রকাশ করেছেন। তবুও তিনি করোনা পরীক্ষা কিংবা এর চিকিৎসা নিতে আগ্রহী নন বলে সুত্রগুলোর দাবি।

তিনি গোপনে এটি ধামাচাপার চেষ্টা করলেও প্রচার হয়ে যাওয়ায় তার ভক্ত, মুসল্লী, স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।

তবে হাফেজ জহির কোন ভাবেই এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না। কিন্তু নিজেকে পুরাতন অন্য রোগের রোগী বলে দাবি করছেন।

সকলের দাবি, তাকে জরুরি ভিত্তিতে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনা হোক। তবেই সকলের উদ্বেগ আর আতঙ্কের অবসান হতে পারে।

আরও খবর