উখিয়ায় করোনার নমুনা সংগ্রহে অনীহার অভিযোগ: এনজিওদের সম্পৃক্তের দাবী

শহিদ রুবেল ◑

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদ উখিয়ায় করোনা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আক্রান্তদের তালিকায় যুক্ত হয়েছে এনজিও কর্মী, ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু।

এমন অবস্থায় উখিয়া হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা উপসর্গধারী সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ না করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তির সূত্রে জানা যায়, উখিয়ার কোটবাজারে করোনা আক্রান্ত এনজিও কর্মীর সংস্পর্শে থেকে প্রতিদিন কর্মস্থলে যাতায়াত করেছি। সরকারের নির্দেশনার আওতায় জরুরী সেবা প্রদান করার জন্য সহকর্মী হওয়ায় একই কর্মস্থলে কাজও করেছি।

এইদিকে তিনদিন আগে আমার সেই সহকর্মী করোনায় আক্রান্ত হন। পরদিন নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট করা হলে দুর্ভাগ্যবশত তার পরিবারের ৪ সদস্যও করোনা ‘পজেটিভ’ হন।

পাশাপাশি আমার নিজেরও করোনা উপসর্গ দেখা দিলে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) উখিয়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যোগাযোগ করি। জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে করোনার উপসর্গ থাকায় টেস্ট করার জন্য সাজেস্ট করে প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন। পরে একই চিকিৎসক তাকে কিট সংকট থাকার কথা বলে দুই-তিন দিন পর পরীক্ষা করার কথা বলে সাজেস্টকৃত প্রেসক্রিপশন থেকে পরীক্ষার বিষয়টি কেটে দেন।

অভিযোগকারী জানান, শারীরিক ভাবে অসুস্থ বোধ করায় আমি একইদিন আবারো জরুরী বিভাগে যোগাযোগ করলে দায়িত্বরতরা আমাকে ঢুকতে না দিয়ে দুর্ব্যবহার করেন।

তিনি জানান, একইদিন একই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা আরেক সহকর্মীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু আমি অসুস্থ বোধ করলেও নমুনা সংগ্রহ না করার বিষয়টি দুঃখজনক। আমি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছি এবং সেলফ লকডাউনে আছি। যাতে আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ থাকেন।

এই ব্যাপারে জানতে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রনজন বড়ুয়া রাজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নমুনা সংগ্রহের একটা নিজস্ব পাথওয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে ৪শতের মত রোগী নমুনা সংগ্রহের জন্য অপেক্ষারত আছেন।

তিনি আরো জানান, আগামীকাল বা পরশু অভিযোগকারীর নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে।

এইদিকে কক্সবাজার জেলায় অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা উখিয়ায় ইউএন এজেন্সি, শত শত আই এনজিও, এনজিও করোনা প্রতিরোধে হোস্ট কমিউনিটির জন্য কাজে নিয়োজিত থাকার কথা বলার পরও উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা প্রদানকারীদের সাথে এমন আচরণ অমানবিক ও দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন সচেতন মহল। তাদের দাবী, রোহিঙ্গা ভারে বিপর্যস্ত উখিয়ায় কাজ করা এনজিও গুলোকে হোস্ট কমিউনিটির নমুনা সংগ্রহ, করোনায় সচেতনতাসহ অত্যাধিক কাজে লাগানো উচিত।

উল্লেখ্য, উখিয়া উপজেলায় বুধবার ১৩ মে পর্যন্ত ২৮৬জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জনের করোনা পজেটিভ হয়েছেন। এবং অভিযোগকারী ব্যক্তি একটি এনজিও তে কর্মরত রয়েছেন।

আরও খবর